গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যশ। আবহবিদরা জানিয়েছেন, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে এগোতে থাকবে ‘যশ’। সোমবার রাতের মধ্যে আরও শক্তি বাড়বে এই ঘূর্ণিঝড়ের। বুধবার ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে এই অতি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়। সাগরদ্বীপ ও পারাদ্বীপের মধ্যে যশ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহবিদরা।

সোমবার সকাল থেকে আকাশের মুখভার। কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। যশ মোকাবিলায় ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে যশ-এর তাণ্ডবের আশঙ্কায় পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল মিলিয়ে মোট ১৪৪টি স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-ধেয়ে আসছে যশ, কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?

আগামী ২৪ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে এই ট্রেনগুলি ছাড়ার কথা ছিল। আগামী বুধবার ২৬ মে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সেই প্রেক্ষিতে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ ওই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ পূর্ব উপকূলের একাধিক রাজ্যে এই স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেল সব মিলিয়ে ১১৯টি। পূর্ব রেল ২৫টি ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাওড়া, শিয়ালদহ, সাঁতরাগাছি, শালিমার সহ বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিকে শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে। পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত নিচু স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিকে উঁচু স্টেশনের দিকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
যশের তাণ্ডবের আশঙ্কায় রেলের গার্ড, মোটরম্যান, সিগন্যালিং কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
