Wednesday, August 27, 2025

ভেজা মাটি শুকিয়ে কবে চন্দ্রমল্লিকা ফুটে গন্ধ বের হবে, তার পরিচর্যায় শোভন-বৈশাখী

Date:

Share post:

শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। একজন ছিলেন রাজনীতিবিদ, এখন অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ। অন্যজন ছিলেন অধ্যাপিকা। সে কাজ ছেড়ে রাজনীতিতে গভীরভাবে হাত ডুবিয়ে হাত মুছে ফেলে তিনিও প্রাক্তনী। এখন শুধু দুজন, বন্ধু আর বান্ধবী গোল পার্কের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে একে অন্যকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন মধ্য বয়সের অপরিসীম আদিখ্যেতা নিয়ে।

নারদায় গ্রেফতার হওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান সকলে দেখেছেন। কোর্টে তৃণমূলের আইনজীবীর সাহায্য থেকে শুরু করে জেলে না গিয়ে হাসপাতালে থাকার সব ধরণের সুবিধা নিয়েছেন সরকারের থেকে। কেন পেলেন? সবাই বুঝতে পারেন। সব কথা বলতে হয় নাকি! হাসপাতাল থেকে বন্ধুর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। তাঁর গোলপার্কের বিলাসী ফ্ল্যাটে পরিচর্যার সুযোগ না পেয়ে শিক্ষিতা-সুন্দরী বৈশাখী রাজ্য সরকারকেই তোপ দাগেন। শোভন জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বেআইনিভাবে প্রেস কনফারেন্স করেন। একান্ত পারিবারিক নাটক একেবারে হাটখোলা জনতার মাঝে। তাতে কী যায় আসে! প্রাক্তন মহানাগরিক, তাতে কী বা এলো গেল! প্রাক্তন মন্ত্রী, কিন্তু এখন তো নই! সব কিছুর মাথা খেয়ে শোভন-বৈশাখী সেই কবিতাটার বাস্তব উপাখ্যান লিখলেন… আসুক না ঝড় ঝাপটা/ বলুক না লোকে কুকথা/ বন্ধ করো দরজা/ শুরু হোক বসন্ত বিলাস…

কিন্তু প্রশ্ন হলো কী করবেন শোভন? ভুল বললাম, শোভন-বৈশাখী? প্রাচুর্য আছে, ফলে ‘হতভাগা সাংবাদিক’দের মতো রোদে-জলে-ইয়াসে-বাজারে পুড়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই। আমজনতার মতো ১০-৫টা অফিসের প্রয়োজন নেই। কার্যত লকডাউনে রুটি-রুজির জন্য ভাবনা নেই। আছে শুধু ভাল লাগার সুখ।

কিন্তু রাজনীতির মধু যে বড় মিষ্টি। তাকে ছাড়া বেশ মুশকিল কারওর কারওর কাছে। আর তা যদি উপাদেয় হয়? ফলে এখন অপেক্ষার প্রহর গোনার রাজনীতি। ভিজে মাটি। একটু শুকিয়ে যাক। ছোট ছোট ঘাস গজাক। দুটো একটা চন্দ্রমল্লিকা ফুটুক। একটু গন্ধ বেরোক। গাঁদা গাছটা নয় নিজেই গিয়ে লাগিয়ে আসবেন দুজনে। পুরনো সম্পর্কের সুতোতে একটু মাঞ্জা দেবেন। তারজন্য নানা উপাচার তৈরি হবে। মাঝে মধ্যে প্রয়োজনে কালীঘাটে দুজনে পুজো দেবেন। শোভন পড়বেন ফ্যাব ইন্ডিয়ার পাঞ্জাবী আর বৈশাখী সম্বলপুরী সিল্ক, রঙ ম্যাচ করে। যদি মন্দির থেকে একটু এক পা দু’পা এদিক ওদিক যেতে হয়, তারজন্য ছুতো খুঁজে নেবেন। পুজো এলে বিশেষত কালীপুজো এলে রাত জাগার প্রস্তুতি নেবেন। আর ভাই ফোঁটা আসার আগের দিন থেকে সিল্কের পাজামা-পাঞ্জবী পরে প্রয়োজনে রাত জাগবেন। চেয়ারে ঠায় বসে থাকবেন। ঘনঘন ফোনের দিকে তাকাবেন। কলিং বেল যদি বাজে ছুট্টে চলে যাবেন সদর দরজায়। একটা চিরকূট নিয়ে কেউ কী এলো!!!

তারপর আমি এতো যে তোমায় ভালবাসি… মানবেন্দ্রর গলায় গানটা বাজিয়ে দেবেন, বাজাবেন শুধু বারবার বাজাবেন। বিরক্ত হলেও শুনিয়ে যাবেন। দরকারে দুজনে একসঙ্গে ডুয়েট গাইবেন।

ভিজবে ভিজবে চিড়ে ভিজবে। ঠাকুর অন্ন গ্রহণ করবেন, না করে উপায় আছে! তখন পাড়ার মাইকে ওই ব্রহ্মসঙ্গীতটা বাজবেই… তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা..

Pp

Advt

spot_img

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...