শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেননি, শুধুই সমর্থন করেছেন, বললেন দিলীপ ঘোষ

একদিকে মুকুল রায়, অন্যদিকে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল৷ দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির নিশানায় এই তিন জনপ্রতিনিধি৷ আর সেই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, “বিজেপিতে যোগদান করেননি শিশির অধিকারী। ইস্যুভিত্তিক সমর্থন দিয়েছেন মাত্র”।

 

তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে নিয়ে দিলীপ ঘোষের এই বিস্ফোরক এই দাবি ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

 

দিলীপবাবু বলেছেন, “শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে জানা নেই। ইস্যুভিত্তিক সমর্থন করে থাকতে পারেন। কিন্তু আমাদের পার্টিতে যোগ দিয়েছেন, আমাদের মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন এমন কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। যদি ওই দু’জন বিজেপিতে যোগ দিয়ে থাকেন এবং সেই তথ্য তৃণমূলের কাছে থাকে, তাহলে ওরা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করুক”।

 

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ, বিধানসভা ভোট শুরুর দিনকয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন শিশির অধিকারী। তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঠিক এর পরই শিশির অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “অমিত শাহকে বলেছি, অত্যাচারীদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমার পরিবার আপনাদের পাশে রয়েছে।” সেদিনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতেও দেখা যায় শিশিরবাবুকে। পাশাপাশি

ভোটের প্রচার চলাকালীন সরকারি এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তবে বিজেপির মঞ্চে তাঁকে একবারও দেখা যায়নি।

 

এদিকে,শিশিরবাবু ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সাংসদপদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারের কাছে ইতিমধ্যেই দরবার করছে তৃণমূল। সেই আবহে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷