Sunday, November 9, 2025

হাওয়ালায় কয়েক দফায় ধনকড় নেন ১০.২৫ লক্ষ টাকা! অভিযোগ সাংবাদিক সঞ্জয়ের

Date:

Share post:

রাজ্যের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে জৈন হাওয়ালায় মামলার সম্পর্কের কথা কয়েকদিন আগেই দাবি করেছিল রাজ্যের শাসক দল। এবার ওই মামলার একটি তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে ওই জৈন হাওয়ালায় মামলার যোগাযোগের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা লেখক সঞ্জয় কাপুর রীতিমতো তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন হাওয়ালায় মামলাতে ধনকড়ের যোগাযোগ ছিল ওতপ্রোত।

সালটা ছিল ১৯৯১। ব্লিৎজ পত্রিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক সঞ্জয় কাপুর জৈন শিল্পপতিদের টাকা হাওয়ালায়ের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছে তা নিয়ে একের পর এক তদন্তমূলক প্রতিবেদন সামনে এনেছিলেন। সুপ্রিমকোর্টে জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারির শুনানির সময় সেই প্রতিবেদনের তথ্যগুলি প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছিল।

গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হাওয়ালায়া কেলেঙ্কারিতে সরাসরি ধনকড়ের যোগ থাকার অভিযোগ এনেছিলেন। এমনকি চার্জশিটেও তাঁর নাম আছে বলে তিনি দাবি করেছিলেন। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে ধনকড় সাফাই দিয়ে জানিয়েছিলেন, এই মামলার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই এবং চার্জশিটেও তার নাম নেই। যদিও তার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।

এরপরেই সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ এবং সঞ্জয় কাপুর মমতাকে সমর্থন করে জানিয়ে দেন যে তৃণমূল সুপ্রিমো যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ সত্য। হাওয়ালায়ের মাধ্যমে জৈনদের কাছ থেকে ধনকড় বিপুল পরিমাণ টাকা উৎকোচ হিসেবে নিয়েছিলেন। এমনকি মমতাকে সমর্থন করে সঞ্জয় কাপুর লেখেন, তার ১৯৯১ সালে জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারি নিয়ে যে বই প্রকাশিত হয়েছিল ,তাতে সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেওয়া আছে। ওই বইতে ব্যাখ্যা করা আছে কীভাবে প্রতিবেদনটি কে কাজে লাগিয়ে জনৈক ব্যক্তি নিজের ইমেজ তৈরি করেছিলেন। এমনকি সঞ্জয় কাপুর এই কথাও জানিয়েছেন যে, জাগদীপ ধনকড় হাওলার মাধ্যমে কত টাকা নিয়েছিলেন । তার বিশদ তথ্য প্রমাণ তার প্রকাশিত বই ‘ব্যাড মানিব্যাগ ব্যাড পলিটিক্স’-এ স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে।

কেরলের ভাজপা ঘনিষ্ঠ রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ঘুষ হিসেবে কয়েক দফায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়েছিলেন এবং জাগদীপ ধনকড় তিন চার দফায় ১০.২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছিলেন । সঞ্জয় কাপুর আরও জানিয়েছেন যে জগদীপ ধনকড় প্রতি দফায় কত টাকা করে নিয়েছিলেন তা এতদিন পর এই মুহুর্তে তার পক্ষে মনে করা সম্ভব হচ্ছে না।
শুধুমাত্র হাওয়ালায় কেলেঙ্কারি নিয়ে লেখা সঞ্জয় কাপুরের বইতেই নয়, বিনীত নারায়ণের অভিযোগ পত্রেও জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারিতে ঘুষ নেওয়ার প্রসঙ্গে এই দুই রাজ্যপালের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো ধনকড়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা যতটা সহজে এড়িয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল, তা কিন্তু তার পক্ষে সম্ভব নয়।

spot_img

Related articles

৮ বলে ৮ ছক্কা! রঞ্জি ট্রফিতে বিশ্বরেকর্ড মেঘালয়ের ব্যাটারের

রঞ্জি ট্রফির( Ranji Trophy) ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ডে(World Record) তৈরি করলেন মেঘালয়ের ব্যাটসম্যান আশিষ কুমার চৌধুরী। আর বলে আটটি...

পশ্চিমবঙ্গই সেরা পারফর্মার: এসআইআর-এ রাজ্যের সাফল্যে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন

রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনের মধ্যেও এসআইআর সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজ এবং এনুমারেশন ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ।...

রবিতেও ঠাকুরনগরে এলো অ্যাম্বুল্যান্স: ২১ অনশনকারীর মধ্যে অসুস্থ ৯

এসআইআর-এর প্রতিবাদে আমরণ অনশনে মতুয়া পরিবারের সদস্যরা। মতুয়া দলপতিদের অনশনের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা...

কংগ্রেসকেও সমর্থন করতে পারত RSS: অরাজনৈতিক সাজার চেষ্টা মোহন ভাগবতের!

একশো বছর উদযাপন ঘিরে রাতারাতি প্রচারের আলোয় অনেক বেশি করে আসছে আরএসএস। সেই সঙ্গে এবার প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারাকে...