খাদ্য এবং বাসস্থানের সংকটে হুগলির (Hoogli) রাজহাটের ময়ূররা। পোলবার রাজহাট গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গান্ধীগ্রাম, চকপাড়া, চৌতাড়া, সাহেববাগান, ঝাপানডাঙা গ্রাম জুড়ে রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর (Peacock)। কুন্তী ও সরস্বতী এই দুই নদীর মধ্যে বিশাল এলাকা জুড়ে ময়ূরের বসবাস। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এখানে ময়ূরেরদল তাদের বাসস্থান গড়ে তুলেছে। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে ঘোর সংকটে ভারতের জাতীয় পাখীর দল।

গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের সাধ্য মতো ময়ূর রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বহু বছর ধরে। কিন্তু নানা সমস্যায় কারণে বিপাকে পড়েছে ময়ূরের দল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গোটা রাজহাট গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে ময়ূর- ময়ূরী উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের আবেদন, সরকার উদ্যোগ নিয়ে এখানকার এদের রক্ষা করুক। পাশাপাশি গান্ধীগ্রামের ময়ূরের বিচরণভূমির বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হোক পর্যটন কেন্দ্র যেখানে থাকবে বিধিনিষেধ। তাহলেই এখানকার বন্যপ্রাণ ও পরিবেশ দুইই রক্ষা পাবে।

যদিও স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার (Asit Majumder) বলেন, রাজহাটের ময়ূরকে বাঁচানোর পাশাপাশি এখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যসরকারের কাছে আবেদন পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- রাজ্যে আরও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা নবান্নের
