Thursday, August 28, 2025

‘বিশ্বাসঘাতক’ বিজেপিকে ত্রিপুরা থেকে হটানোর সময় এসেছে: সুস্মিতা

Date:

Share post:

ত্রিপুরায় শিক্ষকদের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস। বিপ্লব দেবের গড়ে গিয়েই আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব৷

এদিন সুস্মিতা বলেন, “যেখানে মমতাদির নেতৃত্ব রয়েছে , আগামী দু’বছরের মধ্যে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠন করবো। সেটা নিশ্চিত। আমি ত্রিপুরার মাটিতে এসেছি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। ত্রিপুরার প্রত্যেকটা জেলা, ব্লকে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন তৈরি করব।”

আরও পড়ুন-ডিজিটাল দুনিয়ায় বিজেপিকে টেক্কা দিতে ‘কু অ্যাপে’ও অ্যাকাউন্ট খুললো তৃণমূল

এরপরই সুস্মিতা দেব বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন,” আমি বিজেপির সরকারকে বলতে চাই, সাড়ে তিন বছরের যে বিশ্বাসঘাতকতা ত্রিপুরার জনসাধারণের সঙ্গে করেছেন সেটা বিচার করার সময় এখন চলে এসেছে।” তারপর অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও সরব হন সুস্মিতা। বলেন, “এখন যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি ত্রিপুরার মাটিতে কাজ করতে এসেছিলেন। ত্রিপুরার মানুষকে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন মিসড কল করলেই উনি প্রত্যেকটা ঘরে একজনকে চাকরি দেবেন। আজ কটা চাকরি হয়েছে তার বিচার আপনারা করুন। বলা হয়েছিল 24 ঘন্টা বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সুবিধা সমস্ত কিছু বিজেপি সরকার করে দেবে, কিন্তু বিজেপি সরকার ত্রিপুরাতে কোন কাজ করে দিতে পারেনি।” সুস্মিতা আরও বলেন,”বিজেপি বলেছিল, সরকার গঠন হওয়ার এক মাসের মধ্যে ৭ম পে কমিশন লাগু হবে, এখনো পর্যন্ত তা লাগু হয়েছে কিনা তার বিচার ত্রিপুরার জনতা করবে।”

সুস্মিতার কথায়,” বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের ইতিহাস তা আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। উনি যা বলেন তা করে দেখান। এখানে যে ম্যানিফেস্টো হবে তা ত্রিপুরার জনসাধারণ লিখে দেবে।”

ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে ১০,৩২৩ চাকরি আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য একটি ‘স্থায়ী সমাধান’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু মাত্র দু’বছর পরে, করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, ২০২০ সালের মার্চ মাসে – সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেগুলি বাতিল করা হয়েছিল।

মোট ১০,৩২৩ জন স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং অস্নাতক শিক্ষককে ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায় ত্রিপুরা সরকারি স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে এই বিষয়ে মামলা দায়ের হলে আদালত এই নিয়োগকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। ২০১৭ সালে, রাজ্য সরকার একটি বিশেষ আবেদন করেছিল, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পরে শিক্ষকদের অবসর নেওয়ার কথা ছিল এবং তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এককালীন চূড়ান্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় – যার পরে শিক্ষকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিপ্লব দেবের সরকার তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল – কিন্তু ৩ বছর পরেও সেটিও পূরণ করেনি। এই শিক্ষকদের পাশে পেতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। সূত্রের খবর শিক্ষক সংগঠন সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন-উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি, কেরলে পরীক্ষা স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে আরও ৫,৪৩৭ জন শিক্ষকের চাকরি ঝুলে রয়েছে। ত্রিপুরায় গত ১৫ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত এই শিক্ষকরা আমলাতান্ত্রিক সমস্যা এবং সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে বেকারত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন।

advt 19

 

spot_img

Related articles

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...

অভিষেককে প্রাণনাশের হুমকি! হরিয়ানার আম্বালা থেকে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের যুবক

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। হরিয়ানার আম্বালা থেকে...