আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোটা ত্রিপুরায় উদ্দীপনা ক্রমশ বাড়ছে। সেদিন সকালেই আগরতলা আসবেন অভিষেক। দুপুর দুটোয় রবীন্দ্রভবন থেকে পদযাত্রা শুরু। শেষ হবে ওরিয়েন্ট চৌমহনীতে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন অভিষেক। এরপর ত্রিপুরার শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বেশ কিছু সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হবে। অভিষেকের এই সফরকে ঘিরেই কৌতূহলে মেতে উঠছে ত্রিপুরা। কোভিড সতর্কতা মেনেই পদযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতৃত্ব। শনিবার এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন সংগঠকরা।

শনিবার আগরতলায় ত্রিপুরা প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের একটি সভা হয়। ছিলেন সভানেত্রী সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুস্মিতা দেব, শর্মিষ্ঠা দেব-সহ নেত্রীরা। ছিলেন জয়া দত্ত, পারমিতা সেন প্রমুখ। আমন্ত্রিত হিসেবে যান কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং, মামুন খান। ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, শক্তিপ্রতাপ সিং প্রমুখ। জেলাওয়ারি, বুথভিত্তিক সংগঠন গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। একদিকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা। অন্যদিকে ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসন আর অত্যাচার। এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তার সঙ্গে বাংলার তৃণমূল সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির রূপায়ণের জন্য ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার গঠনের সমর্থনে প্রচারের রূপরেখা তৈরি হয়। মহিলারা যেভাবে সোচ্চার হয়ে এগিয়ে আসেন, তাতে সভা জমে ওঠে। সেখান থেকেও ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেকের পদযাত্রা সফল করার স্লোগান ওঠে। কাকলি এবং সুস্মিতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যেভাবে মহিলাদের স্বীকৃতি ও দায়িত্ব দেন, আর কোনও দল তা দেয় না। সভাস্থলে এসে অনেকে তৃণমূলে যোগদান করেন।

দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে ফ্লপ শো করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এখন বাংলার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রচারকের তালিকায় অন্য রাজ্যের বক্তারা থাকলেও বিজেপির একমাত্র বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ। বাংলার বিজেপিই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নম্বর দিচ্ছে না। বুঝে গিয়েছে উনি এলে ক্ষতি, কারণ ত্রিপুরার মানুষই অসন্তুষ্ট। বিজেপিই যখন বাদ দিচ্ছে, ত্রিপুরার মানুষও তাঁকে বাদ দিয়ে দেবেন।
