তালিবানের(Taliban) হাতে আফগান সরকার পতন ভারতের জন্য মোটেই সুখকর নয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। রাতারাতি তাদের কাবুল দখল দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছে গোটা বিশ্ব। আফগানিস্তানের(Afghanistan) এই পরিস্থিতি সীমান্ত এলাকায় অশান্তি বয়ে আনতে পারে অনুমান করে যথেষ্ট চিন্তিত ভারত। দেশের মাটিতে জঙ্গি(terrorist) অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তায় থাকা বাহিনী আদৌ কি তালিবানের রণকৌশল সম্পর্কে পরিচিত? তালিবানের সহযোগী জঙ্গি সংগঠন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে না সে কথা কে বলতে পারে? এই অবস্থায় ঝুঁকি না নিয়ে বিএসএফ (BSF), সিআরপিএফ (CRPF) বা এসএসবি (SSB)-র মতো বাহিনীকে বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি সব রাজ্যের পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা।

জানা গিয়েছে, তালিবানের মোকাবিলা করতে একেবারে নতুন ধরনের ট্রেনিং মডিউল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। যাতে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকে ভারতের সেনাবাহিনী। গোয়েন্দাদের তবে দাবি করা হচ্ছে এ তালিবানের হাতে যেভাবে কাবুলের পতন হয়েছে তার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পড়তে পারে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সমস্ত কৌশল ও প্রস্তুতিতে বদল আনা হয়। চেনা রীতি থেকে বেরিয়ে নতুন কৌশল রপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত হয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:ভবানীপুর উপনির্বাচন: বিজেপি করোনা বিধি ভাঙলেও বাম প্রার্থীর মনোনয়ন ছিল সাদামাটা

এ প্রসঙ্গে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, সীমান্ত রক্ষায় সব বাহিনী মোতায়েন করা আছে অর্থাত্ বিএসএফ, এসএসবি, রাজ্য পুলিশের বিশেষ ইউনিট, সিআরপিএফ কিংবা জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, তাদের তাদের ট্রেনিং পদ্ধতিতে বদল আনা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশকেও এই বিশেষ নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশের চাকরি পাওয়ার সময় যে ট্রেনিং দেওয়া হয় সেখানেও বদল আনার পরিকল্পনা রয়েছে। আধিকারিকেরা মনে করছেন সীমান্তে যে সব বাহিনী মোতায়েন রয়েছে তাদের তালিবানের ইতিহাস জানা অত্যন্ত জরুরি। জানতে হবে তাদের রণকৌশলও। আর সেই মতই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বিভাগ।

