মোদি-শাহকে ”নাথুরাম বানাই জোড়ি” কটাক্ষ, বিজেপিকে টুকরো টুকরো করার শপথ কানাইয়ার

দিল্লির JNU-তে ছাত্র সংগঠনের প্রেসিডেন্ট থাকালীন প্রথমবার রাজনীতির পাদপ্রদীপে আসা। তারপর বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে তাঁর সেই তোলপাড় করা “আজাদি” স্লোগান দেশের নবীন প্রজন্মের গায়ে কাঁটা দেয়। এই স্লোগানের জন্য মোদি-অমিত শাহদের রোষের মুখে পড়ে জেলযাত্রা পর্যন্ত হয়েছিল। বিচ্ছিন্নবাদী, সন্ত্রাসবাদী, পাকিস্তানি, টুকরে টুকরে গ্যাং ইত্যাদি তকমা তাঁর ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের গায়ে সেঁটে দিয়েছিল বিজেপি। সেই সিপিআই ((CPI) নেতা কানাইয়া কুমার (Kanaiya Kumar) এখন দল ছেড়ে কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরেছেন। লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করা।
কেন বামপন্থী দল ছেড়ে কংগ্রেসে? কানাইয়ার উত্তর, রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দেখেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে কংগ্রেসের ঝান্ডার তলায় থেকে বিজেপিকে টুকরো টুকরো করা।
কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গী সাথীদের ”টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং” বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই শব্দবন্ধেই এবার গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন JNU-এর প্রাক্তন ছাত্র নেতা। তাঁর কথায়, ”আমায় টুকরে টুকরে গ্যাং বলে তকমা দিয়েছে বিজেপি। আমি ওদের টুকরো টুকরো করব। গান্ধীকে নয় গডসেকে দেশের পিতা হিসেবে দেখে ওরা। খালি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে গান্ধীভক্তি দেখায়।” মোদি-শাহকে ”নাথুরাম বানাই জোড়ি” বলেও খোঁচা দিয়েছেন কানহাইয়া।
রাহুলকে গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে কানাইয়া বলেন, “দেশের যুব সম্প্রদায় মনে করছে, রাহুল গান্ধী সৎ ও সাহসী, নির্ভীক একজন নেতা। তাঁর লড়াইয়ে সত্যতা রয়েছে। অনেকে নানা ধরনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু যুবকদের সামনের সারিতে নিয়ে যেতে চান রাহুলজি। তাঁর  মধ্যে মমত্ব আছে।”  তিনি আরও জানান, কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতেই তাঁর দলবদল। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে কংগ্রেসের।

advt 19