কেউ বঞ্চিত হবে না! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নথির আরও সরলীকরণের পথে রাজ্য

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের বাস্তবায়ন করে মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee) ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়, যেমন কথা তেমন কাজ করতে ভালবাসেন তিনি। লক্ষ্মী পুজো মিটতেই ১ কোটির বেশি মহিলার অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢুকে গেল। বৈধ আবেদনকারীদের মধ্যে এখনও প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এই টাকা পাবেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টেও খুব দ্রুত টাকা ঢোকা শুরু হবে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই খুশির হাওয়া রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে।

তবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে যাঁরা বিভিন্ন কারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি অথবা প্রয়োজনীয় নথির অভাবে নাম নথিভুক্ত হয়নি, তাঁদের মন খারাপ করার কোনও দরকার নেই। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নথি সংক্রান্ত নিয়মের সরলীকরণ করল রাজ্য সরকার। মূলত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর জন্য নাম অনুমোদন করতে হবে। জেলায় জেলায় এমনটাই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের তরফে। আজ, শুক্রবারে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। এর ফলে অসম্পূর্ণ আবেদন পত্র নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কাটবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য নাকি, তা খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। সমস্ত তথ্য যাচাই করে এই নথিগুলি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তবেই তাদের আবেদন অনুমোদন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।

advt 19

প্রসঙ্গত, প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ থেকে ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। যার মধ্যে ৮ লক্ষের বেশি আবেদনকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঠিক না থাকায় ওই সকল মহিলাকে এই আর্থিক সুবিধা দেওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি ২৬ লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীদের আবেদন অসম্পূর্ণ হয়েছিল। যার যে প্রায় ৩৫ লক্ষের কাছাকাছি আবেদনকারীদের কীভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে চিন্তায় ছিল নবান্ন। শুক্রবার এই নির্দেশিকার জেরে অনেকটাই জটিলতা কাটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।

এদিকে, লক্ষ্মীপুজো মিটতেই ফের হাসি গৃহলক্ষ্মীদের মুখে। লক্ষ্মীবারেই রাজ্যের ১ কোটির বেশি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের টাকা। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, তাঁদের অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারেই সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের টাকা একসঙ্গে ঢুকে গিয়েছে। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১,০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৯ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব (CS) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Drevedi)।

উল্লেখ্য, তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন- রেকর্ড টিকাকরণের উৎসব মোদির: ‘বিলম্বের জন্য নির্লজ্জ উৎসব’, পাল্টা তোপ বিরোধীদের

 

 

Previous articleফের সেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ডের বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় ২৯ গবেষক
Next articleটি-২০ ফর্ম‍্যাটে বিরাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে কী বললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?