শিয়রে কলকাতা (Kolkata) ও হাওড়া (Howrah) পুরভোট (Corporation Election)। লড়াইয়ের দৃশ্যপটে নেই বাম-কংগ্রেস (Leftfront-congress)। কিছুটা ভালো ফলের আশা বিজেপির (BJP) থাকলেও, সে গুড়ে এখন বালি। দলের নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি ও আদি-নব্য বিজেপির ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরও যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে একাসনে বসতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কলকাতা পুরভোটে জয়ের কোনও সম্ভাবনা তো নেই, বরং ১৪৪ আসনের লড়াইয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। হাওড়াতেও একই অবস্থা।

যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে শাসক তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের প্রার্থী তালিকা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। কলকাতা ও হাওড়া পুরভোট নিয়ে কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। যা নিয়ে দলের অন্দরে বিতর্ক আরও বেড়েছে। বিধানসভা ভোটে জোর ধাক্কা খাওয়ার পরেও এমন লোকেদের রাখা হয়েছে, তাঁরা হয় তৃণমূল থেকে আসা, নতুবা গো-হারা। সেই কমিটিকেই পুরভোটের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) জানিয়েছেব, পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় কোনও চমক নয়। বিজেপিতে জঞ্জাল ফাঁকা করা হচ্ছে। প্রার্থী তালিকায় কোনও ফিল্মস্টারকে রাখা হবে না। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পার্টির কর্মীরাই প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়বেন।

বিজেপি সূত্রে খবর, এবার অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রণে
ভারসাম্য বজায় রেখে প্রার্থী বাছাই হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতা-নেত্রীকে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিধানসভা ভোটে লড়েছেন, কিন্তু হেরে গিয়েছেন এমন অনেককেও প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। পুরভোটে আগে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে কিংবা যে গুটিকয়েক কাউন্সিলর এখনও গেরুয়া শিবিরে রয়েছেন, তাঁদেরও টিকিট দেওয়া হবে।

বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, কিন্তু পরাজিত হয়েছেন, তাঁদেরও প্রার্থী করা হতে পারে। সেইসঙ্গে নতুন কিছু কমবয়সী মুখ রাখা হবে প্রার্থী তালিকায়। প্রার্থী তালিকায় থাকবেন মহিলারাও। সেইসঙ্গে পুরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন সদস্যদেরও রাখা হবে প্রার্থী তালিকায়।

তবে সবচেয়ে বেশি যে দিকটি নিয়ে মাথা ব্যথার কারণ বিজেপির তা হলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পুরভোটে বিভিন্ন ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থীর দাবিদার আছে বিজেপিতে। কেউ অন্য দল থেকে থেকে গিয়ে আচমকা ওয়ার্ডের নেতা হয়েছেন,
কেউ আবার আদি বিজেপি। কিন্তু টিকিট পাবেন তো একজনই। সে ক্ষেত্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও চরম আকার নিতে পারে। যে ছবি দেখা গিয়েছিল একুশের বিধানসভা ভোটের আগে। তাই কলকাতা ও হাওড়া
পুরভোটের প্রার্থী তালিকা বাছাইয়ে অস্বস্তিতে থাকা বিজেপি যে বেশ সাবধানী ভূমিকা পালন করবে, তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন:BJP MLA Contro: বেলাগাম বিজেপি বিধায়ক, তৃণমূলের জেলা নেত্রীকে মারধরের হুমকি
