“সারা বছর পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগে বিশেষ মাথাব্যথার কারণ থাকে না। আমরা শুধু পাশ করব না, লেটারমার্কস নিয়ে পাশ করব। মানুষ রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়ন দেখেছে। কলকাতা পুরসভার (KMC) কাজ দেখেছে। তার নিরিখেই ভোট হবে।” এমনটাই আত্মবিশ্বাসের সুর ঝড়ে পড়ল কলকাতা পুরসভার ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী চৈতালী চট্টোপাধ্যায় গলায় (Chaitali Chatterjee)। এলাকায় বিজেপি প্রার্থীকে কেউ চেনেন না। তাই বিজেপির মত ভোট পাখি নয়, সারাবছর কাজের নিরিখে তাই ভোটের আগে উন্নয়নই হাতিয়ার চৈতালীর।
এবার ফের ৯০ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষণ হয়েছে। তাই আগের কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে তৃণমূল প্রার্থী করেছে চৈতালী চট্টোপাধ্যায়কে। এর আগেও ২০১০ সালে এই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় প্রার্থী হয়েছিলেন চৈতালী। এবং কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে এই ওয়ার্ড তাঁর কাছে নতুন নয়।
৯০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বৈচিত্র্য আছে। এখানে একদিকে যেমন উচ্চবিত্ত, শিক্ষিতদের বাস, ঠিক একইভাবে বেশকিছু বস্তি অঞ্চলও রয়েছে। এই বৃষ্টি অঞ্চলের মানুষদের জন্য বিশেষ উন্নয়নমূলক কাজ করতে চান চৈতালী। তাঁর কথায়, ” ওয়ার্ডের বস্তি অঞ্চলগুলির মানুষ যথেষ্ট সরকারি সুবিধা পেয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে লক্ষীর ভান্ডার কিংবা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ সামাজিক প্রকল্পগুলির আজ ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের ঘরে ঘরে। এখানকার মেয়েরা নানা ভাবে উপকৃত। স্বনির্ভর হওয়ার জন্য তাঁদের বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে প্রায় সমস্ত মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছে।”
কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আগামিদিনে ৯০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কমিউনিটি হল করার ভাবনা রয়েছে চৈতালী চট্টোপাধ্যায় মাথায়। এখানে এমন মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষ আছেন যাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন বাইরে গিয়ে করতে হয়। তাই একটি একটি কমিউনিটি হল অগ্রাধিকার পাবে তাঁর কাজে। এছাড়াও ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় পুরোটা জুড়েই রবীন্দ্র সরোবর লেক রয়েছে। এখন সেই লেকের চেহারা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আগামিদিনে আরও সৌন্দর্য করতে চান তিনি। এছাড়া রাস্তাঘাট, আলো, জল পরিষেবা আরও উন্নত করাই লক্ষ্য বলে জানালেন চৈতলী চট্টোপাধ্যায়।