মঙ্গলবার সাতসকালেই কলকাতা দু’জায়গায় দুটি রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাঁশদ্রোণীর (Banshdroni) সোনালি পার্কে বাড়ির গেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মুকেশ সাউ (Mukesh Sahoo) নামে ওই এলাকার বাসিন্দাকে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন মুকেশ। গত মাসেই তাঁদের বিহারে বাড়িতে রেখে আসেন ওই ব্যক্তি। সূত্রের খবর, সোমবার, রাত দশটা নাগাদ একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরেন মুকেশ। এদিন, সকাল সাতটা নাগাদ তাঁর বাড়ির গেটের সামনে মুকেশের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর ভাই সঞ্জয় সাউ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ (Police)। বেলার দিকে সেখানে যান কলকাতার সাউথ ডিভিশনের অ্যাডিশনাল এএসপি (ASp)। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরে তল্লাশি চালানো হয়। সারা ঘরে রক্তের দাগ মিলেছে। রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে কলিংবেলেও। মুকেশের গলায় ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে। কাঁধে এবং ডান হাতেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে যান লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। মুকেশের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। বাড়ির সামনের রাস্তার সিসি ক্যামেরাগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, টালিগঞ্জ (Tollyganj) থানা এলাকার মুদিয়ালিতে ফুটপাতে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। একটি গেস্ট হাউজের সামনের ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম প্রভাতকুমার ঘোষ। তিনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন:Omicron:কড়া নাড়ছে থার্ড ওয়েভ,রাজস্থানে একসঙ্গে ৯ জনের শরীরে ওমিক্রনের হদিশ
