Sunday, August 24, 2025

পারিবারিক পরম্পরা বজায় রেখে পৃথক দল থেকে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই ভাইয়ের

Date:

Share post:

বাড়িতে ভাতৃত্বের বন্ধন, একান্নবর্তী পরিবার। অথচ বাড়ির দরজা পার হলেই তারা যুযুধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। আলাদা প্রতীক, আলাদা দল। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে(KMC Election) একজন দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের(TMC) প্রতীকে অন্যজন বিজেপির(BJP)। সিনহা বাড়ি দুই পুত্রের এই রাজনৈতিক লড়াই এখন হয়ে উঠেছে প্রতিবেশীদের চর্চার বিষয়। যদিও সিনহা বাড়িতে এই ঘটনা অবশ্য পারিবারিক পরম্পরা।

সিনহা বাড়ির বড় ছেলে রাজেশ সিনহা ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে। অন্যদিকে ছোট ছেলে রাজীব সিনহা প্রার্থী হয়েছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিটে। দুই ভাইয়ের এহেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা ঘরের বাইরে চর্চার বিষয় হয়ে উঠলেও রাজনীতিকে বাড়ির চৌকাঠের বাইরে রেখেছেন দুই ছেলে, দুই বউমা, নাতি-নাতনিদের নিয়ে সুখের সংসার করা রাজেশ-রাজীবের মা আশাদেবী। দুই ছেলেকে নিয়ে রীতিমতো গর্বিত আশা দেবী বলেন, ‘ওরা পারিবারিক পরম্পরা বজায় রেখেছে।’ আশাদেবীর স্বামী ছিলেন আদ্যোপান্ত কংগ্রেস নেতা। হয়েছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক। তিনি প্রয়াত। কিন্তু তাঁর ফ্ল্যাটের দরজায় এখনও জ্বলজ্বল করছে অনয়গোপাল সিনহার নেমপ্লেট। নীচে লেখা ‘এক্স এমএলএ’। অন্যদিকে, ভাশুর জনতা দল করতেন। দু’বার জোড়াসাঁকো কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:KMC 108: ১০৭-এর পর এবার সুশান্তর আলোয় আলোকিত হতে চায় ১০৮

যদিও দুই ছেলে দুটি আলাদা দল করলেও মা আশা দেবী কোন দলের সমর্থক? কাকেই বা ভোট দেবেন তিনি? সাবধানী আশা দেবী বলেন, “দুই ছেলে দুই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এটাই রক্ষে! না হলে একজনকে বাছতে হলে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। আমি চাই, ওরা দু’জনই জিতুক। সেটাই চাই”। পাশাপাশি এই প্রতিদ্বন্দিতা প্রসঙ্গে রাজেশ বলেন, “ছোটবেলা থেকে বাবা ও জেঠুকে দেখে বড় হয়েছি। ওঁরা দু’জন দুই দলের সদস্য হলেও পরিবারে তার প্রভাব পড়েনি। আমরা সেভাবেই এগিয়ে চলেছি।” এক সুর রাজীবের গলাতেও। বললেন, “পরিবার আর রাজনীতি— দু’টি আলাদা জায়গা। রাজনীতির আলোচনা সদর দরজার ওপারে। এপারে পুরোটাই কমফোর্ট জোন।”

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...