বাম-বিজেপি-কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিচ্ছেন অনেকেই। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত চাকরি ছেড়ে জনসভায় যুক্ত হয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যেই এবার কলকাতা পুরভোটের দুই প্রার্থী বসুন্ধরা গোস্বামী (Basundhara Goswami) এবং অভিজিৎ দাস ঠাকুর (Abhijit Das Thakur)। বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে এই দুজনেরই ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।

আরও পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষায় ‘ভারত সেরা’ পশ্চিমবঙ্গ, ফের মমতা সরকারকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের
বাঘাযতীনে তখন সভা চলছে। মঞ্চেই বসুন্ধরাকে মমতা বলেন, “মাস্ক খুলে মুখটা দেখাও।’’ বসুন্ধরা গোস্বামী ৯৬ ওয়ার্ডের প্রার্থী তৃণমূল প্রার্থী। তিনি প্রয়াত বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর (Khiti Goswami) কন্যা। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “নতুনদের মধ্যে বসুন্ধরা আছে। ক্ষিতিদার মেয়ে। বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ওকে দিয়ে দলের হয়ে অনেক কাজ করিয়েছি। ও নিজে কারা দফতরে চাকরি করত। এই বয়সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে মানুষের সেবা করবে বলে এখানে কাজ করতে এসেছে।’’
বসুন্ধরার বাবা ক্ষিতি গোস্বামী ছিলেন প্রাক্তন বামজমানার মন্ত্রী, আরএসপি নেতা। বসুন্ধরা আগেই জানিয়েছেন, তাঁর বাবার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কখনওই তাঁদের সেভাবে দেখেননি। “দিদি” ডেকেছেন। অভিষেক পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই কারণেই তিনি তৃণমূলে।
এবারে দক্ষিণ কলকাতার আরেক তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ দাসঠাকুর। তিনি অবশ্য জোড়া ফুল পরিবারেই ছেলে। তাঁর বাবা দুলাল দাসঠাকুর এলাকার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। বাম আমলে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর অভিজিতের মা দিপু দাসঠাকুর পরপর দুবার ওই অঞ্চল থেকে কাউন্সিলর হন। অভিজিৎ এলাকায় রানা নামেই বেশি পরিচিত। ম্যানেজমেন্টের ছাত্র রানা মোটা মাইনের চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। এবার তিনি 106 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। এদিনের সভায় থেকে রানার কথাও বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, নিশ্চিন্ত কেরিয়ার ছেড়ে জনসেবায় এগিয়ে এসেছেন রানা। তৃণমূলে এরকম অনেকেই আছেন যাঁরা বড় চাকরি নিশ্চিন্ত ভবিষ্যতের হাতছানি ছেড়ে, মানুষের কাজ করার জন্য জোড়া ফুল শিবিরে যোগ দিয়েছে। তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এই সব কৃতীরা ।
