পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচারণ করোনাকালে বারবার প্রকাশ্যে উঠে এসেছিল। অন্যান্য রাজ্যগুলির টিকা পেলেও বাংলা তার প্রাপ্য টিকা পায়নি। টিকার অভাবে বন্ধ করতে হয়েছিল ক্যাম্প। সে বঞ্চনা জারি রয়েছে আজও। শুক্রবার CNCI-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে(Prime Minister) সরাসরি সেই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, রাজ্য তার প্রাপ্য ৪০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এখনো পায়নি। কেন্দ্রের তরফে যত পরিমাণ টিকা দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয় পশ্চিমবঙ্গবাসীর সকলের টিকাকরণের জন্য আরও টিকা প্রয়োজন রয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি সে কথা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে মোদির সামনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য তার প্রাপ্য টিকা এখনো পায়নি। ৪০% দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রে থেকে, কিন্তু তা এখনো মেলেনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দেন, “সকল রাজ্যবাসী টিকাকরণের লক্ষ্যে আমাদের আরও টিকা চাই।” এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, “এই ক্যাম্পাসের উদ্বোধন রাজ্য সরকার আগেই করে ফেলেছে। করোনাকালে এই ক্যাম্পাস রাজ্য সরকারকে অনেক সাহায্য করেছিল। তখন করোনা রোগীদের সুবিধার্থে ক্যাম্পাসটি ব্যবহার করেছিল সরকার।” পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ক্যাম্পাস তৈরীর জন্য রাজ্য সরকার ২৫% অর্থ এবং জমি দিয়েছে।” এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানান, মেডিকেল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা যাতে বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন:High Court: চার পুরভোট পিছনো নিয়ে কমিশনের অবস্থান কী? হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই হাসপাতাল বাংলার অনেক নাগরিকের সুবিধা করবে। শুধু কলকাতা নয়, আশপাশের জেলাগুলিও উপকৃত হবে। বিশেষ করে দুঃস্থদের ক্যানসার চিকিৎসায় এই হাসপাতাল বড় ভূমিকা নেবে। বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদেও ক্যানসারের চিকিৎসা হবে।” মোদি এর পর যোগ করেন, “এই অনুষ্ঠানে একটা কথা বলতে চাইব। আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন, যখন ভারতে ১৫০ কোটি টিকা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। তা-ও এক বছরের কম সময়ে এই টিকাকরণ হয়েছে। এটা আত্মনির্ভরতা, আত্মগৌরবের প্রতীক।” পাশাপাশি, নিজের বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, “করোনাকালে বাংলাকে ১.৫ হাজার ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। বাংলা ১১ কোটি টিকা পেয়েছে।”
