২৬ বছর ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধরনা চালানো শিক্ষক যোগীর বিরুদ্ধে লড়ছেন নির্বাচনে

নির্বাচনী যজ্ঞে মেতে উঠেছে উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)। লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস সহ আরো অনেকে। মনোনয়ন পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)। তার প্রতিদ্বন্দী হয়েই এবার উত্তরপ্রদেশে লড়াইয়ের ময়দানে প্রতিবাদের পরিচিত মুখ বিজয় সিং(Vijay Singh)। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এই ব্যক্তি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও রাজ্যে ন্যায় শাসনের দাবিতে গত ২৬ বছর ধরে ধরনা আন্দোলন করছেন।

বিজয় সিংয়ের মুজাফ্ফরনগরের ধরনা মঞ্চের কথা রাজ্যের সকলের জানা। মূলত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই তাঁর আন্দোলন। বিজয়ের দাবি, এখানকার কয়েক হাজার একর জমি দখল করেছে জমি মাফিয়ারা। নেপথ্যে রয়েছে রাজনীতি। এরই প্রতিবাদে তিন দশক ধরে আন্দোলন করছেন বিজয়। এবার যোগ এর বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে নেমেছেন তিনিই।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজয় বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছি। গোরক্ষপুরের আর্বান আসনে মনোনয়ন জমা দেবো।” শুক্রবার এই আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। বিজয় আরও বলেন, “উত্তরপ্রদেশে গত ২৬ বছরে যারাই ক্ষমতায় থাকুক, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিষয়ে মানুষকে জাগরুক করতেই আমাকে ভোটে দাঁড়াতে হচ্ছে। আমি ঠিক করেছি যে পাঁচ রাজ্যে ভোট, সবখানে সবচেয়ে কম খরচায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক দল ও সরকারগুলি যে কিছুই করেনি, সেই বিষয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করব সাধারণ মানুষের মধ্যে।”

আরও পড়ুন:Sushil Kumar: সুশীল কুমারের জামিনের আবেদন নিয়ে পুলিশের কী অবস্থান, জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট

নয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব বিজয় সিং। ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ধরনা মঞ্চ গড়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন। এই বিষয়ে প্রশাসনকে, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক। যদিও আজ অবধি দুর্নীতি দমনে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। যার প্রতিবাদেই নির্বাচনের ময়দানে বাধ্য হয়েই নেমে পড়লেন তিনি।

Previous articleSushil Kumar: সুশীল কুমারের জামিনের আবেদন নিয়ে পুলিশের কী অবস্থান, জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট
Next article” আগে কুল খাওয়া নিষেধ ছিল, বিদ্যে পালিয়ে যায়, তাই কুল খেতাম না”