” আগে কুল খাওয়া নিষেধ ছিল, বিদ্যে পালিয়ে যায়, তাই কুল খেতাম না”

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী :  ছোটবেলায় আমার সরস্বতী পুজোর স্মৃতিটা খুব সুন্দর। খুব বড় করে সরস্বতী পুজো হত আমাদের বাড়িতে। তখন ব্রড স্ট্রিটে থাকতাম আমরা। বেশ বড়সড়ো ঠাকুর আসতো সকালে উঠে স্নান সেরে নতুন শাড়ি পরে পুজোর কাজ করতে বসতাম। কাঁচি,বঁটির কাজ করতে দিত না। আমার দায়িত্ব ছিল শুধু চন্দনবাটা। অনেক লোকজন আসত ওই সময়। খাওয়াদাওয়া হত। বাড়ির পুজো হয়ে যাবার পর বন্ধুরা মিলে ঠাকুর দেখতে যেতাম। পাড়ার ঠাকুর , স্কুলের পুজো দেখতাম ঘুরেঘুরে।পরবর্তীকালে যখন বিয়ে হয় তখন আমার শ্বশুরবাড়িতে সরস্বতী পুজো হত না। তাই আমি ওইদিন মায়ের বাড়ি চলে আসতাম। এখানে থেকে পুজো কাটিয়ে যেতাম প্রতিবছর।‌ এখন আমি আমার গানের স্কুলে সরস্বতী পুজো করি। আমার গানের স্কুলের নাম ‘দিশা’। দু’বছর আগে অবধি খুব বড় করে হয়েছে পুজো। আমার ছাত্রছাত্রীরা সবাই আসে । বাজার দোকান, ঠাকুর, পুজোর জোগাড় সবাই মিলে করি। পুজোর দিন ফল-প্রসাদ-মিষ্টি তো থাকেই পরের দিনটা খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করতাম। খিচুড়ি, লাবড়া বা বাঁধাকপির তরকারি, পায়েস, মিষ্টি সবই হত। ওইদিন সব ছাত্রছাত্রী প্রতিবার একটা খুব সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচ-গান সবই হয় সেখানে। কিন্তু করোনাকালে ছোট করেছি সব আয়োজন। এবারেও গানবাজনার অনুষ্ঠান হয়ত হবে ছোট করে। অনুষ্ঠানের শেষে এই দু’বছর খাবারের প্যাকেট করেছি। সবাই আসে নিয়ে যায়। রাধাবল্লভী, বা কচুরি-তরকারি, মিষ্টি— আরও অনেক কিছু থাকে প্যাকেটে। পাতপেড়ে খাবার ব্যাপারটা বন্ধ রয়েছে হয়ত আবার পরবর্তীকালে শুরু হবে।

Previous article২৬ বছর ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধরনা চালানো শিক্ষক যোগীর বিরুদ্ধে লড়ছেন নির্বাচনে
Next articleপ্রয়াত বিজেপির প্রথম সাংসদ জঙ্গা রেড্ডি, হারিয়ে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে