ভবানীপুরের লী রোডে ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে ওই মৃত ব্যবসায়ীর শরীরের একাধিক জায়গায় বহু আঁচড়ের দাগ ছিল। রিপোর্টে আরো জানা গিয়েছে ওই ব্যবসায়ীর গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

এখন ওই বৃদ্ধের শরীরে কীভাবে ওই দাগ হল তা জানার চেষ্টা চলছে। মনে করা হচ্ছে খুনের আগে অভিযুক্তের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় ধরে ধস্তাধস্তি হয়েছিল ওই বৃদ্ধের। শুধু ব্যবসায়ীর শরীরেই নয় গেস্ট হাউসের যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেও নানা জায়গায় ধস্তাধস্তির চিহ্ন পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা । তা থেকেই মনে করা হচ্ছে মৃত্যুর আগে হত্যাকারীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য
বহু চেষ্টা করেছিলেন এই ব্যবসায়ী।

খুনের পর হত্যাকারী বা হত্যাকারীরা একটি হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। সেই ট্যাক্সিটিকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ। জেরায় ট্যাক্সিচালকের দাবি, দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর ওই ব্যক্তিকে হাওড়ার দিকে ছেড়ে আসেন তিনি। সেখান থেকে আততায়ী কোথায় গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
