কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে হঠাৎই বাপ্পিদার সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছিল । হওয়ার কথা ছিল না। বাপ্পিদার ওখান থেকে কোনও একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা তাঁকে ওই হোটেলে নিতে আসছিলেন। ওই যাওয়া আসার মাঝে কিছুটা সময় বেরিয়ে পড়েছিল । আর সেই সুযোগে হোটেলের লবিতে বসে প্রথমে কিছুক্ষণ তারপর তা দীর্ঘ হতে হতে প্রায় এক ঘন্টার আড্ডা-আলোচনায় পরিণত হয়েছিল।

আমি জানিনা বাপিদা আমার করা প্রতিটি কম্পোজিশন শুনেছেন কিনা তবে তিনি নিজেই বলেছিলে একবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি লাইভ কনসার্ট হচ্ছিল তখন তিনি আমার কাজ শুনেছিলেন এবং দেখেছিলেন। আর তা শুনে তিনি নাকি মুগ্ধ হয়েছিলেন । আর আমার বলতে এতটুকুও দ্বিধা নেই বাপ্পিদা আমার কম্পোজিশন শুনে মুগ্ধ হয়েছেন একথা শুনে আমি যে কতটা আনন্দে আপ্লুত হয়েছিলাম তা বলে বোঝাতে পারব না। বাপ্পি লাহিড়ীর মত সঙ্গীত পরিচালক আমার কাজের প্রশংসা করছেন এ যে আমার কাছে কতটা গর্বের কতটা অনুপ্রেরণার তা ভাষায় বোঝানো অসম্ভব।

বাপ্পি লাহিড়ী শুধু যে ‘ডিসকো’ গানে পারদর্শী ছিলেন তা নয়, ধীর লয়ের মেলোডি সংয়েও তাঁর জুড়ি মেলা ভার । ডিস্কো সংকে বাপ্পিদা এক অনবদ্য উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
