রাজ্যে বিপুল কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে। একই সঙ্গে সীমান্তে ট্রাক টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার, বৈঠকে বসে রাজ্য মন্ত্রিসভা। তারপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈঠকের নির্যাস জানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পার্থ জানান, রাজ্যে ডাটা অপারেটর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে চুক্তি ভিক্তিক কর্মী নিয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তি ১১৫৫১ জন চুক্তি ভিক্তিক কর্মী নিয়োগ হবে। তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে কাজ করবেন। খাদ্য দফতরে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে ৩৪২জনকে নিয়োগ করা হবে।

নয়াচরে কেমিক্যাল হাব ও থার্মাল পাওয়ার শিল্প করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সেখানে যে জায়গা আছে, সেখানে মৎস্যজীবীদের জন্য প্রকল্প চালু হবে। অ্যাকোয়া কালচার, ফিসি কালচার ও সোলার পাওয়ার প্রোজেক্ট হবে বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, সিলিকন ভ্যালির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অনেক আইটি ও সেই সংক্রান্ত অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে জমি নিতে আগ্রহী। তারা যাতে জমি পেতে পারে সেই প্রস্তাবটির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

সীমান্তে ট্রাক টার্মিনাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। একথা কানে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। তখনই এই টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণ করার কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সীমান্তে ট্রাক টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই টার্মিনালে যাঁরা কর্মরত ছিলেন তাঁদের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে পরিবহন দফতরে কাজে নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:বিরোধীদের তোপ দেগে নাড্ডার খোলা চিঠি, পাল্টা আক্রমণ কুণালের

একই সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক ট্রাক পরিবহনের ক্ষেত্রে ফি সরলীকরণ করা হবে। ট্রাকগুলি কাছ থেকে কর আদায় করা হত কার কোন নির্দিষ্ট পরিকাঠামো ছিল না। এবার সরকার ফি সরলীকরণ করা হয়েছে কর আদায়ের জন্য। পাশাপাশি, ফিরহাদ হাকিম জানান, পচনশীল দ্রব্যগুলি সীমানা পার করার জন্য ছাড়পত্রের অগ্রাধিকার পাবে। পচনশীল নয়, এমন মাল বহনকারী ট্রাকগুলি নাম্বারিং করা হবে। তারপর ওয়ারলেস সিস্টেমে ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো মগরাহাটে মৃতদের পরিবারের একজন করে সদস্য চাকরি পাবে। একই সঙ্গে রাজ্য বাজ পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের একজনও চাকরি পাবেন বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।