বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট- এ (BGBS) আসছে না দেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (TMC- Kunal Ghosh) বলেন,” উনি লজ্জায় আসছেন না। যেভাবে বঙ্গ বিরোধী চক্রান্ত করার পরেও হেরেছেন সেই জন্য মোদি আসছেন না। বিশেষ করে আসানসোলে বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন প্রশাসনিক ভাষা বলবে। আমি দলের তরফে বলতে পারি। বিজেপি ডুবছে আরও ডুববে।”

শিল্প সম্মেলন প্রসঙ্গে বিজেপি বলছে লগ্নি কিছুই আসেনা। কুণাল (TMC- Kunal Ghosh) বলেন, “বিপুল লগ্নি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। শিল্প সম্মেলন থেকে গত বছরও যে প্রস্তাবগুলি এসেছিল সেগুলি কার্যকর করা শুরু হয়ে গিয়েছে। তার সমস্ত নথি সরকারের কাছে রয়েছে। বিজেপি আগ্রহী হলে তা দেখতে পারে। বরং বিজেপি বলুক নরেন্দ্র মোদি যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি কোথায়? নেই।”

আরও পড়ুন: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় বাংলা যোগ, ধৃত একাধিক

বাঁশদ্রোনীতে গুলি চলার ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, “দু’জন পরিচিত ব্যক্তি একই সঙ্গে তারা ব্যবসা করতেন তাদের নিজেদের মধ্যে কিছু হওয়ায় গুলি চলেছে। প্রত্যেকটি বিষয় রাজনীতি জড়ানো এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু বলতে হবে এমন কোনো মানে নেই। কিছু বাজে ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার সঙ্গে সামগ্রিকতার কোনও সম্পর্ক নেই। রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ এবং প্রশাসন যা যা করার করছে।” তিনি সিপিএম -কে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “সিপিএম জমানায় মৃতদেহের খাট থেকে বালিশ নিয়ে সিন্ডিকেট করেছে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সত্যজিৎ রায়ের শেষকৃত্যের দিন। যে সিপিএম শ্মশানে খাট, বালিশ, ফুল নিয়ে সিন্ডিকেট করে তাদের মুখে এসব কথা সাজেনা।”
কুণাল আরও জানান, “পশ্চিমবঙ্গ আইন-শৃঙ্খলা দেশের সেরা। ব্যক্তিগত সমীকরণে যদি দু একটি ঘটনা ঘটে তা নিন্দার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের সুরক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় দেশের সেরা পশ্চিমবঙ্গ। এবং একই সঙ্গে কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ওপর নির্যাতন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্যাতনের প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশ সেরা। ফলে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা কাঙ্খিত নয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজ্যের জনমুখি প্রকল্পগুলি প্রশংসা করেছেন। এপ্রসঙ্গে কুণাল বলেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি শুধু নয় বিজেপির বহু নেতার বিলম্বিত বোধোদয় চলেছে। বিজেপির একপক্ষের মনে হচ্ছে বাংলায় বিজেপি করা যায় না। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে বিজেপি করছেন। বাংলায় বিজেপির গণতন্ত্র নেই। তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। তারা অস্তিত্বহীন হয়ে যাচ্ছেন।”

দিল্লির দাঙ্গায় বাংলার চারজন ধরা পড়া প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এর তদন্ত চলছে, এখনই কোনো উপসংহার মূলক মন্তব্য করতে চাই না।
