মাছের ব্যবসার আড়ালে কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে পাচারের অভিযোগে শুক্রবার ইডি ৯ জায়গায় তল্লাশি চালালো । এদিন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে ৩টি, দমদমের একটি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ২টি জায়গা মিলিয়ে মোট ৯ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিযোগ, অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধা ৬০টি ভুয়ো কোম্পানির নামে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারপর তা হাওলা রুটে পাচার করা হত এ রাজ্যে। জানা গিয়েছে শুক্রবার সকাল থেকেই ইডির ৬০-৭০ জন অফিসার একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালান। গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ফিনানশিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিট একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আর্থিক তছরুপের খোঁজ পায়। জানা গিয়েছে বাংলাদেশের একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ৫০টির বেশি কোম্পানির নাম করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।

তবে এই বিরাট পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারির পিছনে কি আর কেউ আছে? নাকি শুধুই সুকুমার মৃধা? এই প্রশ্নের এখন খুঁজছে ইডি। আন্তর্জাতিক টাকা পাচার চক্রের কিং পিন পি কে হালদার নামে এক ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি। তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের কেউ এই চক্রে জড়িয়ে আছে কী না তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
