স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে দেশ যখন উন্নতির পথে দৌড়োচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন ত্রিপুরার দুর্দশার ছবি চোখে পড়ার মতো। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে যা আপনাকে শুধু লজ্জা দেবে না, সহনাগরিক হিসেবে বেদনাও দেবে। ত্রিপুরার মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে অনেক দুর্দশা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, এমনটাই দাবি করে আজ, মঙ্গলবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে দেখা যাচ্ছে উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ এখনও নূন্যতম উন্নয়ন দেখতে পাননি।

আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে টগবগ করে ফুটেছে ত্রিপুরার রাজনীতি। উপনির্বাচন মূলত চতুর্মুখী লড়াই। তার আগে এদিন আগরতলা প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ”ত্রিপুরা ফাইলস” নামে একটি ভিডিও’র প্রথম পর্ব প্রকাশ করে তৃণমূল।

ত্রিপুরায় জল মানে জীবন নয়, জীবনযুদ্ধ!
দশকের পর দশক ধরে একটার পর একটা সরকার এসেছে, কিন্তু ত্রিপুরাবাসীর কাছে জলকষ্ট যতদিন গিয়েছে আরও তীব্রতর হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতারণার ইতিহাস নিয়ে আপনাদের সামনে ‘ত্রিপুরা ফাইলস্’-এর প্রথম পর্ব ‘তৃষ্ণার্ত ত্রিপুরা’। pic.twitter.com/bqIdegNlpx
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) June 7, 2022
উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে যেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, প্রদেশ সভাপতি সুবল ভৌমিক-সহ নেতৃত্ব।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ যখন এগিয়ে চলেছে তখন অনুন্নত ত্রিপুরার বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে তৈরি ”ত্রিপুরা ফাইলস”-এর প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রের মানুষের সমস্যা ও দুর্দশার প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয় ঘাসফুল শিবিরের তরফে। নির্বাচন কমিশনের অনিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক।
