শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে স্কুলের শিক্ষকরা গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। সবার জন্য শিক্ষা ২০০৯ আইন অনুযায়ী কোনও স্কুল শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক নিজেকে টিউশনে যুক্ত করতে পারবেন না। শিক্ষকরা যাতে প্রাইভেট টিউশন না করেন, সে জন্য এর আগেও নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যে প্রতিটি জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে যে সরকারি ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনও ভাবেই টিউশন করতে পারবেন না।
যদিও সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি প্রাইভেট টিউশন করছেন শিক্ষকদের একাংশ।এই পরিস্থিতিতে প্রাইভেট টিউশন করার অভিযোগে ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। ওই শিক্ষকরা যে স্কুলে পড়ান, সেই জেলার ডিআইদের তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- অবিরাম বৃষ্টিতে বানভাসি পরিস্থিতি উত্তরে, ভাঙল ব্রিজ, দক্ষিণেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস
স্কুলের শিক্ষকরা বেআইনি ভাবে প্রাইভেট টিউশনি করছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছে গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন। স্মারকলিপির সঙ্গেই গৃহশিক্ষকতা করছেন, এমন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের নামের তালিকা ও স্কুলের নাম লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সব স্তরই রয়েছে। ওই সমস্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ওই শিক্ষকরা উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, বীরভূম, পুরুলিয়া ও কোচবিহার জেলার বিভিন্ন স্কুলে পড়ান। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা নথি সহকারে শিক্ষা দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে। যে সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষা দফতর আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
