মোদি-শাহ (Modi -Shah)রাজ্য গুজরাটে (Gujrat) বিষ মদের বলি ২৮। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। খোদ প্রধানমন্ত্রীর (PM)রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটায় রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। সরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ ঘটনায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৮ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। গুজরাটের (Gujrat) বোটাদ জেলায় বিষমদের (Illegal Liquor)জেরে এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। পরে আহমেদাবাদ জেলার ধুন্ধুকার একটি হাসপাতালে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। শেষ খবর পাওয়া অব্দি ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মোদি (Narendra Modi) সরকার বারবার দাবি করেছে যে গুজরাটের মদ্যপান ও মদ বিক্রি বন্ধ । শুধু তাই নয় এই রাজ্যের তুলনা টেনে বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও দেখা গেছে নমো সরকারের নানা প্রতিনিধিদের। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সবটাই যে শুধু ঢক্কা নিনাদ ছাড়া কিছু নয়, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিল। সোমবার সকালেই বারভালা তালুকের অন্তর্গত রোজিড গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু গ্রাম থেকে বারভালা ও বোটাডের সরকারি হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের রেফার করা শুরু হয়। তাঁদের পরিবার সূত্রে জানা যায় সকালে আচমকাই নাকি তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ভাবনগর রেঞ্জের আইজি অশোক কুমার যাদব জানিয়েছেন, ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার কোনও এক পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল অথবা সিট (SIT)গঠন করে ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং বিষমদ বিক্রির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (ATS)এবং আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চও বিষমদ কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাফ জানিয়েছে,শাসক দল বিজেপির প্রশ্রয়ে ক্রমশ রাজ্যে চোলাই মদের ব্যবসা বাড়ছে। একই অভিযোগ করেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। চোলাই মদের রমরমা বৃদ্ধির পিছনে গেরুয়া শিবিরের মদত রয়েছে বলে দাবি করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের। গত বছর এক সরকারি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল, মদ নিষিদ্ধ হলেও, গুজরাটে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সুরা পানে আসক্ত। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের থেকেও গুজরাটের অবস্থা আরও খারাপ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। বর্তমানে সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। মোদী-শাহ রাজ্যে বিষমদ ইস্যুতে বিরোধীরা যে সোচ্চার হবেন তা বলাই বাহুল্য। শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা।
