দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদের ‘ঠেকা’ নিয়ে বসে রয়েছে বিজেপি(BJP)। অথচ জাতীয় পতাকাকে অপমান করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর(Amit Shah) ছেলে জয় শাহ(Joy Shah)। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোমবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের(TMCP) মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ইস্যুতেই সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। কড়া সুরে জানিয়ে দিলেন, “জাতীয়তাবাদের ‘ধারক-বাহক’ অমিত শাহর যদি নুন্যতম সম্মান থাকে তবে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করুন, না হলে ইস্তফা দিন।” শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে পরিবাদবাদের বিরুদ্ধে বার বার সরব হওয়া বিজেপিকে দেখিয়ে দিলেন অমিত শাহের পরিবাদবাদ।

সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি তথা বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি জয় শাহর তরফে জাতীয় পতাকাকে অবমাননার বিষয়টি তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে কড়া সুরে বিজেপি ও অমিত শাহকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “যারা আমাদের দেশপ্রেম শেখাচ্ছে, জাতীয়তাবাদ শেখাচ্ছে, তাঁর ছেলে বলছে দেশের জাতীয় পতাকা হাতে ধরব না। এদের থেকে আমাদের সার্টিফিকেট নিতে হবে দেশপ্রেমের? জাতীয়তাবাদের? বাংলার মাটি ছিল বলেই আজ দেশ স্বাধীন। জাতীয়তাবাদের ধারক বাহক অমিত শাহ যদি নুন্যতম সম্মান থাকে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করুন, না হলে ইস্তফা দিন।” এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহ প্রসঙ্গে অভিষেক আরও বলেন, ” ওঁর কাছে পদ আগে, তারপর পরিবার, তারপর সমাজ, তারপর দেশ।”

আরও পড়ুন:শুভেন্দু-সুকান্ত গদ্দার, দিলীপ গুন্ডা: নাম ধরে আক্রমণ শানিয়ে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

পাশাপাশি সুর চড়িয়ে পরিবাদবাদ নিয়ে কথা বলা বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি কথায় কথায় পরিবারতন্ত্রের কথা বলে, জয় শাহকে কি রেলের প্ল্যার্টফর্মে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন? যদি পারেন পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিল আনুন, সেখানে প্রথম ভোট আমি দেব। কোনওদিন ব্যাট বল ধরেনি অথচ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি পদে, বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি পদে জয় শাহ। বিসিসিআইকে বলব ওকে পদ থেকে বের করে দেওয়া হোক।”
শুধু তাই নয়, এদিনের জনসভা থেকে মোদি শাসনে দেশজুড়ে চলতে থাকা অরাজকতার বিরুদ্ধেও সরব হন অভিষেক। বাগদার গণধ*র্ষণ প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আজ বিএসএফ এক শিশু কন্যার সামনে তাঁর মাকে ধর্ষণ করছে, এটাই মোদির নতুন ভারত।” পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অযোগ্যতা চোখে আঙুল দিয়ে তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “কোলিয়াড়ি সিআইএসএফের নিরাপত্তার দায়িত্বে, সীমান্তে বিএসএফ, তাহলে কী করে গরু চুরি হয়? এর দায় কেন্দ্রের। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি। এই টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেছে।”
