ছোট থেকেই শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। তবে পুঁথিগত বা গতানুগতিক বিদ্যায় নয়। নিরলসভাবে ছাত্র ছাত্রীদের হাতেকলমে শেখাতে চান সকল বিষয়। তাঁর ইচ্ছে, পড়াশুনো যেন বাচ্চাদের কাছে বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়। বরং ভালোবেসে পড়াশুনো করুক তারা। তাই দিনরাত এক করে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁকুড়ার জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বুদ্ধদেব দত্ত। প্রকৃত শিক্ষার আলোয় ছাত্রছাত্রীদের আলোকিত করার জন্যই জাতীয় স্তরের সম্মান পেতে চলেছেন বুদ্ধদেব দত্ত।পাচ্ছেন শিক্ষাসম্মান।


আরও পড়ুন:অভিষেকের নেতৃত্বে নতুন প্রজন্ম মানুষের স্বার্থে লড়াই করবে, ছাত্রসমাবেশে বার্তা ফিরহাদের

বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানেই দশবছর ধরে শিক্ষকতা করছেন শিক্ষক বুদ্ধদেব দত্ত। দশ বছরের স্কুলের চেহারাটাও তিনি পাল্টে ফেলেছেন। ২০২০ সালে রাজ্য স্তরে ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার পান। এবার জাতীয় স্তরের পালা। কী বলছেন বুদ্ধদেব বাবু? তাঁর বক্তব্য, “আমার গর্বের শেষ নেই। নিজের স্কুল তথা বাঁকুড়া এবং পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষার জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিতে পেরেছি এ আমার কাছে ভীষণ গর্বের”। টিচিং নয়, তিনি লার্নিংয়ে বিশ্বাস করেন। সেই কারণেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম এবং মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন সবসময়।
প্রকৃতির কোলে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই পড়াশোনায় বিশ্বাসী বুদ্ধদেব বাবু। তাঁর বক্তব্য, আমার উত্তরের মধ্যে দিয়ে যদি ছাত্ররা আমায় প্রশ্ন করে তবে ওদের ভাবনা চিন্তা আরও উন্নত হবে। নিজেকে আরও মেলে ধরতে পারবে ওরা। বাঁকুড়া জয়পুর বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক তিনি। স্কুলের দেওয়াল হোক কিংবা ক্লাসরুম – তাতে নীতিশিক্ষা কিংবা পাঠ্য বিষয়ের আঁকিবুকি, সবমিলিয়ে এক অভিনব উদ্যোগ চোখে পড়ে।

তাঁর এই কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত বুদ্ধদেবের সহকর্মী থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেই। সকলেই চায় আরও উন্নতি করুক বুদ্ধদেববাবু।তবে সেজন্য একা কৃতিত্ব নিতে রাজি নন বুদ্ধদেববাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘এই স্বীকৃতি আমাদের সকলের।’
