ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন ‘ বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কিন্তু ঘরে ফিরলেই উলটো চিত্র। ১০ বছর ধরে কাজ করা পরিচারিকার সঙ্গে দিনের পর দিন দুর্ব্যবহার। দোষ ওই পরিচারিকা ‘আদিবাসী মহিলা’। তাই কথায় কথায় চলত অত্যাচার। তবুও অর্থের জন্য সব সহ্য করেও কাজ করে যেতেন পরিচারিকা। এমনকি মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাবও চাটতে হয়েছে বহুবার। এ ঘটনা ঝাড়খণ্ডে। বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে । ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন মহিলা কমিশন।
আরও পড়ুন:‘সমত্র নারী পূজ্যতে’, নারীর সমানাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সন্তোষপুর আগন্তুক

ঝাড়খণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য সীমার স্বামী মহেশ্বর এক জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক। সীমা নিজে মোদি সরকারের ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের এক জন আহ্বায়কও। কিন্তু মাঝেমাঝেই পরিচারিকার সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করতেন সীমা। বিষয়টি জানাজানি হতেই মহিলা কমিশন ঝাড়খন্ড পুলিশের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ঘটনার পর দল থেকে সীমাকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি।

‘দলিত ভয়েস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। সেখানে এক অসুস্থ আদিবাসী মহিলাকে দেখা যাচ্ছে। তিনি কিছু বলার চেষ্টা করছেন। তাঁর দাঁত ভাঙা এবং শরীরে একাধিক ক্ষতও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দলিত ভয়েসের দাবি, সীমার বাড়িতে ওই আদিবাসী মহিলা আট বছর ধরে নির্যাতনের শিকার। তাঁকে গরম তাওয়া এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করা হত। অভিযোগ, জোর করে মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাবও তাঁকে দিয়ে চাটাতেন সীমা।

#Terrible The brutality that happened to this tribal woman in Jharkhand is extremely painful, for eight consecutive years she was imprisoned and tortured, her teeth were blown out, she was given urine, she was burnt with iron rods several times. The accused must be hanged… pic.twitter.com/wk9NLG2tUB
— The Dalit Voice (@ambedkariteIND) August 30, 2022