প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন বোর্ড কমিটির প্রশংসা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary education Council) আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বেশ খানিকটা আবেগপ্রবণ (Emotional) হয়ে পড়েন বিচারপতি। মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সরিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌতম পালকে (Goutam Pal)। তৈরি হয়েছে অ্যাড হক কমিটিও (Ad Hoc Committee)। এদিন সেই কমিটির প্রশংসায় ‘পঞ্চমুখ’ হতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, এই নতুন কমিটিতে অনেক যোগ্য মানুষরা রয়েছেন।

এদিন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অভীক মজুমদারের মতো জ্ঞানী মানুষ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কমিটিতে আছেন জেনে খুশি হয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নতুন চেয়ারম্যানের গ্রিভ্যান্স সেল তৈরি অত্যন্ত ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আশা করি এই নতুন কমিটি শিক্ষা পর্ষদে ভালো কাজ করবেন। আস্তে আস্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এসএসসি (SSC) অফিসের সবটুকুই আমার চেনা। একসময় আমিও পর্ষদের হয়ে কাজ করেছি। তবে আমার আক্ষেপ হয় দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে ওই অফিসেই আমার নির্দেশে সিআরপিএফ (CRPF) পাঠানো হয়েছে। এরপরই সম্মিলিত মেধা তালিকা (Merit List) প্রকাশ করা পর্ষদের মাস্টারস্ট্রোক (Masterstroke) বলেই জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানান, কোনও উন্নত মানের ব্যক্তি যেকোনও সিস্টেমকে মজবুত করতে বড় ভূমিকা পালন করেন। আমিও একসময় আইনজীবী (Lawyer) হিসেবে কাজ করেছি বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ২০১৬ ও ২০২০ সালের চার ব্যাগ মেধাতালিকা পর্ষদের তরফে পেশ করা হয়। কিন্তু সেই নথির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই মেধাতালিকা পর্ষদে ফেরত পাঠিয়ে বিচারপতি বলেন, তিনি টেটের (TET) মেধাতালিকা নয়, কাট অফ মার্কস সহ (Cut of Marks) মেধাতালিকা চেয়েছিলেন। যে তালিকা থেকে বোঝা যায়, বাড়তি নম্বর পাওয়ার যোগ্য কারা ছিলেন। কিন্তু পর্ষদ সেই তালিকা জমা দেয়নি। মোট নম্বর অনুযায়ী যে তালিকা আদালতে পেশ করা হয়েছে তা দেখে কিছুই বোঝা সম্ভব নয়। তাই মামলার ক্ষেত্রে ওই তালিকার কোনও গ্রহণযোগ্যতা (Acceptance) নেই। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন পেশ করতে হবে হাইকোর্টে। তবে এদিন আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও নথি নষ্ট করা যাবে না।
