৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে, প্রস্তুস্তি হয়ে গিয়েছে- রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে টানাপোড়েনর মধ্যেই শিক্ষক দিবসে এই কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানে তিনি জানান, “৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। সব তৈরি আছে। চাকরি প্রসেস করতে সময় লাগে। সব কিছুতেই PIL (জনস্বার্থ মামলা) হচ্ছে।” ফলে প্রসেস করতে গিয়ে চাকরির স্কোপ কমে যাচ্ছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ”আমি চাকরি দিতে চাই। কেউ কেউ চাকরি বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সব কিছুতেই পিআইএল হচ্ছে। কেউ যদি মনে করেন ন্যায়বিচার পাননি, সেই ন্যায়বিচার আমাদের কাছেই পাবেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কোনও কোনও মানুষ সব কিছুতেই পিআইএল করে উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এর পিছনে তাঁদের ব্যক্তিস্বার্থ জড়িয়ে থাকে বলেও অভিযোগ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর।

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়, ভগবানও পারেন না- মন্তব্য মমতার। তাঁর কথায়, ’’হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না। সমাজে ভালো মানুষ আছে, খারাপ মানুষও আছে। কী একটা খারাপ মানুষ, খারাপ কাজ করল, তার জন্য পুরো সমাজটাকে কুৎসা করে ক্ষোভ উগরে দিলাম। আর সবাইকে একই জায়গায় ফেললাম তা হয় না। কখনও কখনও ভালো মানুষও বিপথে পরিচালিত হয়ে যায়। সঙ্গদোষে পড়ে এমনটা হয়। তাঁদের আমাদেরই ভালো মানুষে পরিণত করতে হবে।’’

কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ’’রাতে ঘুমাতে পারি না, চিন্তা হয়। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দেয় না। ভাবি খেটে খাওয়া মানুষদের ঠিকমতো টাকা দিতে পারব তো? ট্রেজারিতে পর্যাপ্ত টাকা আছে তো? বড় বড় ডাকাতরা ডাকাতি করলে ধরা যায় না। পকেটমার পকেটমারি করলে, লোকে তাঁকে ধরে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ টি চাকরি দিয়েছি।“ তাঁর কথায়, “আমাদের সরকারে ১৭৬ টি পলিটেকনিক, ৭ হাজার নতুন স্কুল, স্কুলে যাওয়ার জন্য ব্যাগ, বই বিনে পয়সায় দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী ৮০ লক্ষ স্কলারশিপ পায়। সবুজ সাথী সাইকেল ১ কোটি ৭ লক্ষ, শিক্ষাশ্রী ১ কোটি ৫ লক্ষ এবং এছাড়াও বারো ক্লাসে বিনাপয়সা ট্যাব দেওয়া হয়, এগুলি মনে রাখবেন”।
