পোলিও আতঙ্ক নিউ ইয়র্কে! গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলতেই জারি জরুরি অবস্থা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (United States) ফিরল পোলিও মহামারি (Polio Epidemic)। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ (Group Transmission)। আর সেকারণেই জরুরি অবস্থা (State of Emergency) জারি হয়েছে নিউ ইয়র্কে (New York)। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের ব্যাপক হারে টিকাকরণের (Vaccination) কাজ শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। জোর দেওয়া হচ্ছে ওরাল ভ্যাকসিনেশনে (Oral Vaccination)। চলতি বছরের জুলাই মাসেই নিউ ইয়র্কে মিলেছিল পোলিও ভাইরাস (Polio Virus)। সেই ঘটনার দেড় মাস কাটতে না কাটতেই নিউ ইয়র্কে জারি হল জরুরি অবস্থা। দেশের পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হোচুল (Kathy Hochul)। তিনি জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্ক শহর এবং আশপাশের চারটি এলাকার নর্দমা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে পোলিও ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।

গত জুলাই মাসে নিউ ইয়র্কে পোলিও ভাইরাসের হদিশ মিলতেই নড়েচড়ে বসে মার্কিন স্বাস্থ্য দফতর (US Health Department)। রাজ্যের একাধিক শহর থেকে শুরু হয় নমুনা সংগ্রহের (Sample Collection) কাজ। সেই রিপোর্ট হাতে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। নিউ ইয়র্কের একাধিক এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলেছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বা সিডিসির (CDC) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের ৯৩ শতাংশ শিশু কমপক্ষে তিন ডোজ পোলিও টিকা নিয়েছে। তারপরও অনেক এলাকা টিকা কর্মসূচিতে পিছিয়ে রয়েছে।

নিউ ইয়র্কের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতে, রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় টিকা নেওয়ার মাত্রা খুবই কম। ফলে জরুরী অবস্থা জারির প্রধান উদ্দেশ্য টিকাদানের প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করা। এর আগে ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্কেই পোলিও আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তবে ভাইরাস যে তাঁর শরীরে খুব একটা ক্ষতি করতে পেরেছে, তা নয়। হাসপাতালে ভর্তি হলেও ওই ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে যাননি। মার্কিন চিকিৎসকদের একাংশের ধারণা, পোলিও ভাইরাস বাইরে থেকে এসেছে আমেরিকায়। তবে বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের (Joe Biden) স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তারা।