Durga Puja 2022 : নবমীর দুপুর থেকেই মন্ডপে মন্ডপে মানুষের ঢল

দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) বিভিন্ন পুজো মন্ডপ তা সে একডালিয়া এভারগ্রিন হোক বা যোধপুর পার্ক , জনস্রোত সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। উত্তর কলকাতার (Uttar Kolkata) সব কটা বড় পুজোতেও সেই একই ছবি।

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা তারপরই শেষ হবে নবমী (Navami)। দশমীর সকাল মানেই বাংলার আকাশে মন খারাপের সুর। তাই শেষ মুহূর্তের আনন্দকে লুটেপুটে নেওয়ার চেষ্টায় বেলা বাড়তেই পা চালিয়ে মণ্ডপের (Pandal Hopping) দিকে দর্শনার্থীরা। কোথাও রীতি মেনে হোম যজ্ঞ, কোথাও আবার ভোগের (Puja Bhog) আয়োজন।

৫ দিনের পুজো দেখতে দেখতে কেটে গেল। ‘অদ্যই শেষ রজনী’, তাই সকাল থেকে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টির ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। একদিকে ঠাকুর দেখা অন্যদিকে নিয়ম মেনে চলছে মায়ের পুজো । প্রতি বছরই নবমীতে বেলুড় মঠে (Belur Math) বিশেষ পূজার্চনার ব্যবস্থা। ভোর সোয়া ৫টায় পুজো শুরু হয়, দুপুরে বিশেষ হোমযজ্ঞ । এদিনের অন্যতম রীতি হল ফল ব*লি দেওয়া। সেইমতো চালকুমড়ো, শসা, কলা-সহ ফল বলি দেওয়া হয় এদিনের পুজোতে। রামকৃষ্ণ মঠের পুজো দেখতে সকাল থেকেই ভিড় জমান ভক্তরা। দুপুরে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পুজোর ক’দিন সারাদিন খোলা রয়েছে মঠের দরজা। শোভাবাজার রাজবাড়ি (Sovabazar Rajbari) , বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়িতে ফল, চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় আজকের দিনে। নবমীর স্পেশাল সাজে বেলা বাড়তেই কচিকাঁচা থেকে বয়স্করা বনেদি থেকে বারোয়ারি মন্ডপে একের পর এক ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত। এদিন বাগবাজার সর্বজনীনে (Bagbazar Sarbojonin) ভোগের আয়োজন করা হয়। নবমীর মেনুতে ছিল, সাদা ভাত, শুক্তো, অড়হর ডাল, সঙ্গে পোস্তর বড়া। খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করাও হয়। বড় বড় পুজো গুলোতে দুপুর গড়াতেই মানুষের ঢল। চেতলা অগ্রণীর ঘিরে হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা। দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) বিভিন্ন পুজো মন্ডপ তা সে একডালিয়া এভারগ্রিন হোক বা যোধপুর পার্ক , জনস্রোত সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। উত্তর কলকাতার (Uttar Kolkata) সব কটা বড় পুজোতেও সেই একই ছবি। পুজোর আমেজে গোটা বাংলা, শেষ বেলায় যত বেশি সম্ভব ঠাকুর দেখে নেওয়ার পালা।

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর কী বললেন বুমরাহ?
Next article‘সিপিএম পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার তালে আছে’, কটাক্ষ কুণালের