ভাত-ডালের সঙ্গে ঋদ্ধিকে আইসক্রিম খেতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন বিরাট

এদিন এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলি বলেন, "যদি আমি কাউকে দেখে থাকি যার খাওয়ার কম্বিনেশন বেশ অদ্ভুত, তাহলে সেটি হল ঋদ্ধিমান সাহা।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের জীবন-যাপান নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে থাকে তাদের অনুরাগীদের। তাদের ড্রেসিংরুমে কেমন কাটে? কীংবা খেলার বাইরে তাদের জীবন-যাপনই বা কেমন? তেমনই কিছু অজানা কথা নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ঋদ্ধিমান সাহার খাওয়ার ধরন চমকে দিয়েছিল বিরাটকে। এদিন এক ইউটিউবে এমনটাই বললেন তিনি। ঋদ্ধি ভারতীয় দলে থাকার সময় একাধিক শহরে একসঙ্গে গিয়েছেন তাঁরা দুজনে। বিরাটকে অদ্ভুত খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলার উইকেটরক্ষকের কথা বলেন তিনি।

এদিন এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলি বলেন, “যদি আমি কাউকে দেখে থাকি যার খাওয়ার কম্বিনেশন বেশ অদ্ভুত, তাহলে সেটি হল ঋদ্ধিমান সাহা। আমি একবার ওর প্লেটের দিকে তাকিয়েছিলাম, যেখানে বাটার চিকেন, রুটি, স্যালাড আর রসগোল্লাও ছিল। আমি দেখলাম ও রুটি আর স্যালাডের দুই-তিনটি কামড় দেওয়ার পর পুরো রসগোল্লাটাই খেয়ে নিল। তখন আমি জিজ্ঞেস করি, ‘ঋদ্ধি, এটা তুমি কি করছ?’ তখন ও বলে যে এভাবেই ও খায়। এমনও সময় এসেছে যেখানে আমি ওকে ভাত-ডালের সঙ্গে আইসক্রিম খেতে দেখেছি। ও এক সঙ্গে গোটাটা খেল, মানে ভাত-ডালের দুই গ্রাস খাওয়ার পর আইসক্রিম খেল।”

শুধু তাই নয়, নিজের খাওয়ার কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বিরাট। সব থেকে ভালো ও খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে বিরাট বলেন, “আমি আমার সব থেকে খারাপ খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলি। সম্প্রতি আমি প্যারিসে গিয়েছিলাম, যা আমার জন্য খুব খারাপ ছিল। নিরামিশাষীদের জন্য, দুঃস্বপ্নের অভিজ্ঞতা ছিল, একেই ভাষার সমস্যা, তার উপর খুব বেশি অপশনও ছিল না হাতে। আর সেরা অভিজ্ঞতা হল  যখন আমি ভুটানে গিয়েছিলাম। একেবারে চাষের জমি থেকে উঠে আসা, স্থানীয় সবজি, ওদের স্থানীয় ভাত। ওরা ওখানে এটিকে ভুটানিজ ফার্মহাউস বলে। সেখানকার ধারণা হল যে ওদের ছোট ছোট কুটির থাকে এবং আপনি সিড়ি দিয়ে উঠে ঠিক নীচেই সবজি চাষ করবেন। তখন তারা সেই সবজি তুলে আনে, আমরা তাদের বাড়িতেই খেয়েছিলাম এবং সেটি ছিল সেরা খাবার।”

আরও পড়ুন:আইএসএলে লাল-হলুদে পাঁচ অধিনায়ক, ঘোষণা ইস্টবেঙ্গলের