Monday, August 25, 2025

অমানবিক! নিজের বাড়িতে টানা ৩৬ বছর বন্দি যোগী রাজ্যের বাসিন্দা স্বপ্না

Date:

Share post:

জেলের কারাগার (Jail Custody) নয়, নিজের বাড়িতেই অন্ধকার ঘরে বন্দি (Captive) হয়ে কাটিয়েছেন টানা ৩৬ বছর। মানসিকভাবে তিনি সুস্থ (Mentally Ill) নন, এই অপরাধেই তাঁর নিজের বাবা ৩৬ বছর এভাবে শিকল পরিয়ে ঘরের এক কোণে বন্দি করে রেখেছিলেন। অবশেষে মুক্তি পেলেন বছর ৫৩-র স্বপ্না জৈন (Swapna Jain)। ফের মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)। ফিরোজাবাদের টুন্ডলার মহম্মদবাদ গ্রামের ঘটনা। ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। ঘটনার যথোপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

স্বপ্নার বয়স যখন ১৭ বছর সেই সময় থেকেই তাঁকে ঘরবন্দি করে রাখেন বাবা গিরীশ চন্দ। স্বপ্নাকে শুধুমাত্র দিনে দুবার খাবার দেওয়া হত। কিছুক্ষন পর আবার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হত। এছাড়া জানালা দিয়ে জল ছিটিয়ে তাঁকে স্নান করানো হত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এভাবেই নরকযন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে কেটেছে স্বপ্নার এতগুলো বছর। সম্প্রতি স্বপ্নার বাবা মারা যান। স্থানীয়রা খবর দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় (Voluntary Organization)। তারপরই বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বপ্না।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবাভারতীর বরিষ্ঠ সদস্য নির্মলা সিং জানান, আমরা তাঁকে খুব খারাপ অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর পরনে ছিল নোংরা জামাকাপড়। সারা গায়ে ময়লা ছিল। আমরা তাঁকে স্নান করিয়ে পরিষ্কার পোশাকও দিয়েছি। বর্তমানে আগ্রার একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে স্বপ্নার।

spot_img

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...