আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই বিশ্ব ফুটবলে (World Football) মহারণ। মুখোমুখি হতে চলেছে হেভিওয়েট দুই দল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স (Argentina v/s France)। আর সেই বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) জড়ে কাবু সারা পৃথিবী। বাদ যায়নি শহর কলকাতাও (Kolkata)। ফুটবল হোক বা ক্রিকেট ক্রীড়াপ্রেমী বাঙালির উন্মাদনা যে অন্যান্য প্রান্তের মানুষের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর রবিবাসরীয় সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচকে ঘিরেই নীল সাদা জার্সিতে সেজে সকাল থেকেই শহরের অলিতে গলিতে মেসি (Lionel Messi) সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। এদিন সকালে কলকাতার বিভিন্ন পাড়া থেকে শুরু করে চায়ের ঠেক বা ক্লাব আর্জেন্টিনা তথা ফুটবল সমর্থকরা দলের কাট আউট দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে এলাকা। পাশাপাশি চলছে সেলিব্রেশনের প্রস্তুতিও। এদিকে রবিবার সকালে ময়দানের বিভিন্ন দোকানে আর্জেন্টিনার জার্সি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন খুদে থেকে বড় সমস্ত বয়সের সমর্থকরা। তবে শেষ হাসি কোন দল হাসবে তা জানার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে ফুটবলপ্রেমীদের। তবে মেসিই যে হাসি হাসবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত সমর্থকরা।

আমরাই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছি, আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মুখে এখন এই একটাই কথা। কেউ আবার বলছেন পাগলের মতো লাগছে। সারা জীবনে এইধরণের অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি, ফাইনাল ম্যাচের আগে এভাবেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন আর্জেন্টিনা সমর্থকরা।

সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। দেশের জার্সিতে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ই এখন একমাত্র লক্ষ্য এল এম টেনের। ৩৬ বছর পর ফের কাপ জয়ের সুযোগ আর্জেন্টিনার সামনে। ইতিমধ্যে ম্যাচকে কেন্দ্র করে কাতারে ভিড় করতে শুরু করেছেন নীল সাদা জার্সিধারীরা। ফাইনালের টিকিট জোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সমর্থকরা। কাতারের রাজধানীর আশেপাশে সৌক ওয়াকিফ মার্কেট এবং ফ্যান জোনে নীল-সাদা রং-এর ঢেউ। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াই চাক্ষুশ করতে কাতারে কারে মানুষ ভিড় করছে শহরে। সূত্রের খবর কমপক্ষে ৪০ হাজার আর্জেন্টিনীয় দোহায় রয়েছেন। আর্জেন্টিনা থেকে ম্যাচ দেখতে আসার জন্য বিশেষ বিমানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাতারে সর্বত্রই দেখা মিলছে ১০ নম্বর নীল-সাদা জার্সিধারীদের।
