টুইটার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিজের আধিপত্য চালিয়ে গিয়েছেন এলন মাস্ক(Elon Musk)। ছাঁটাই করেছেন শীর্ষ পদে বসে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের। এবার নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করার ভার মানুষের হাতে তুলে দিলেন টুইটারের সিইও(CEO)। এই পদে তার থাকা উচিত নাকি তা অন্য কোন যোগ্যতর ব্যক্তির কাজে যাওয়া উচিত সে বিষয়ে মতামত নিতে টুইটারেই(Twitter) চালু করলেন ভোটিং। জানালেন মানুষ যে রায় দিন না কেন তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।

রবিবার রাতে নিজের টুইটার একাউন্টে এই সংক্রান্ত একটি ভোটিং চালু করেন এলন মাস্ক। যেখানে মাস্ক সিইও পদে থাকবেন কিনা তা নিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের মতামত দিতে পারবেন ভোট দান করে। সোমবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪টে ৫০ মিনিটে শেষ হতে চলেছে ভোটিং। তার পরই জানা যাবে টুইটারের নতুন হেডস্যর কি থাকছেন? নাকি বিদায় নিচ্ছেন। অবশ্য এলন না থাকলে তার পদে কে দায়িত্ব নেবে সেটা ভোটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অনুমান করছেন শীর্ষকর্তারা।

উল্লেখ্য, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন টুইটার দখল করার পরই অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় সংস্থাটি থেকে। সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কর্তাব্যক্তিকেও। এ ছাড়াও টুইটারে বহু নীতিগত বদল আনেন এলন। যার মধ্যে টুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টকে চাঁদা ভিত্তিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায় ইন্টারনেট প্রভাবশালীদের মধ্যে। এ ছাড়াও এলনের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেদন লেখা বেশ কিছু সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট অচল (ডিঅ্যাক্টিভেট) হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই জানতে চান টুইটার কি তবে সংবাদ মাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়? গত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে এমনই একের পর বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে এলন এবং তাঁর টুইটার। তবে এলনের নতুন ঘোষণায় সেই পর্বে ইতি পড়তে চলেছে বলে আশা করছেন অনেকেই।
