প্রথম ইনিংসে এগিয়ে ভারত, শতরান হাতছাড়া ঋষভ এবং শ্রেয়সের

শুক্রবার লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। প্রথম আউট হন কে এল রাহুল। মাত্র ১০ রান করে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর উইকেট হন তিনি।

মীরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ভারতীয় শিবির। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও, ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আইয়ারের দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড পেয়েছে দল। ভারতীয় ইনিংস ৩১৪ রানে শেষ হওয়ার পর পাল্টা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৭। এখনও তারা ৮০ রানে পিছিয়ে। শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের পিচে বল যেমন ঘুরতে শুরু করেছে, তেমন মাঝে-মধ্যেই নিচু হচ্ছে। শনিবার তাই দ্রুত বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিতে ঝাঁপাবেন ভারতীয় বোলাররা।

শুক্রবার লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। প্রথম আউট হন কে এল রাহুল। মাত্র ১০ রান করে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর উইকেট হন তিনি। শুভমন গিল (২০) ও চেতেশ্বর পূজারাও (২৪) তাইজুলের শিকার। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিরাট কোহলি। তাঁরও অবদান ২৪। সেই সময় ভারতের রান ছিল ৪ উইকেটে ৯৪। ওই বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে জুটি বাঁধেন ঋষভ ও শ্রেয়স। গত কয়েক মাসে সাদা বলের ফরম্যাটে টানা ব্যর্থ ঋষভকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। যদিও লাল বলের ক্রিকেটে ফিরেই চেনা ছন্দে বাঁ হাতি উইকেটকিপার-ব্যাটার। কঠিন পরিস্থিতিতে ৯৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে সমালোচকদের মুখ আপাতত বন্ধ করে দিলেন ঋষভ। যা সেঞ্চুরির থেকেও দামি।

এদিন ক্রিজে পা রাখার পর থেকেই ইতিবাচক মেজাজে ব্যাট করেছেন ঋষভ। বিরাট আউট হওয়ার পর বাংলাদেশি বোলারদের পাল্টা আক্রমণ করেন তিনি। তবে হাফ সেঞ্চুরির ঠিক আগে একবার আউট হতে-হতে বেঁচে যান। মেহেদি হাসানের বলে লং অনে ক্যাচ তুলেছিলেন ঋষভ। কিন্তু মুশফিকুর রহিমের হাতে লেগে সেই বল ছয় হয়ে যায়। জীবনদান পেয়ে আর পিছু ফিরে তাকাননি ঋষভ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাত্র সাত রানের জন্য নিশ্চিত সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন। এ নিয়ে টেস্টে ছ’বার নার্ভাস নাইন্টির ঘরে আউট হলেন ঋষভ। তাঁর ১০৫ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছয়। ঋষভের দেখানো পথে হেঁটেছেন শ্রেয়সও। তিনিও চাপ কাটাতে বিপক্ষ বোলারদের পাল্টা আক্রমণের রণনীতি নিয়েছিলেন। অবশ্য শ্রেয়স যখন ২১ রানে ব্যাট করছেন, তখন স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন বাংলাদেশের উইকেটকিপার নুরুল হাসান। হতভাগ্য বোলার শাকিব। এর আগেও একবার তাসকিনের বলে গালিতে ক্যাচ তুলেছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু সেই ক্যাচ ধরতে গিয়ে নাকে চোট পান মেহেদি হাসান। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স গিয়ে থামেন ১০৫ বলে ৮৭ রান করে। পঞ্চম উইকেটে ঋষভ-শ্রেয়সের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপটাই যাবতীয় চাপ কাটিয়ে ভারতকে ভাল জায়গায় তুলে এনেছিল। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি টেল-এন্ডাররা। বরং দ্রুত ভারতীয় ইনিংসের ল্যাজ গুটিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাইজুল ৭৪ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। শাকিবের শিকার ৭৯ রানে ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট পান তাসকিন ও মেহেদি হাসান।


 

Previous articleবড় সাফল্য রাজ্যের, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণদানের অঙ্ক ছাড়াল হাজার কোটি
Next articleআজ ছিল আইপিএল-এর মিনি নিলাম, কেকেআর-এ শাকিব ও লিটন