দেশজুড়ে বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টে সামনে এল গণবণ্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে গরিবের খাদ্যশস্য বিতরণেও ব্যাপক নয়ছয়ের অভিযোগ। রেশন দুর্নীতির শীর্ষে যোগীর ডাবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। পিছিয়ে নেই স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতও। “ডাবল ইঞ্জিন” মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটকের পর্যন্ত নাম রয়েছে সেই তালিকার উপরের দিকে। রিপোর্ট অনুযায়ীস গত চার বছরে মোট ৫ হাজার ৭৯৮টি রেশন দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রের ঘরে। তার মধ্যে এক চতুর্থাংশই এসেছে যোগীরাজ্য থেকে।

বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্রের খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে গত ৭ বছরে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৪০টি তল্লাশি চালানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন ৪২ হাজার ২৭৪ জন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে দেশের ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ গরিব নাগরিককে চাল-গম দেয় কেন্দ্র। যা একটি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প। রূপায়ণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। রেশন দোকানের লাইসেন্স, রেশন কার্ড বণ্টন থেকে খাদ্যশস্য এফসিআইয়ের গুদাম থেকে দোকানে পৌঁছে দেওয়া—সবই তারা করে। আর সেই প্রক্রিয়াতেই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই তালিকায় শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ।

কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে জুন পর্যন্ত যোগীরাজ্য থেকে ৩০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গত চার বছরের হিসেব ধরলে সংখ্যাটি ১,৭৪৬। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যই বলছে, ২০১৯ সালে সেখানে রেশন দুর্নীতির অভিযোগের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯টি। পরের বছর তা বেড়ে হয় ৩৬। ২০২১ সালে সেটি কমে ৩৩-এ দাঁড়ায়। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে সেই সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ১১৭। তথ্য বলছে, পাহাড়প্রমাণ অভিযোগের জেরে ২০১৫ থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত গোটা দেশে ৮৬ হাজার ৭১৫টি রেশন দোকানের লাইসেন্স বাতিল, শোকজ, সাসপেন্ড করেছে কেন্দ্র।
