Saturday, August 23, 2025

সর্বস্ব খুইয়ে মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ যোশিমঠের বাসিন্দাদের

Date:

Share post:

প্রশাসনের চূড়ান্ত অবহেলায় তলিয়ে যাচ্ছে হিমালয়ের কোলে থাকা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ যোশিমঠ(YoshiMath)। ফাটল দেখা গিয়েছে ৭০০-র বেশি বাড়িতে। এই এলাকা বসবাসের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বলে ঘোষণা করে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রশাসনিক অবহেলায় সর্বস্ব খুইয়েছেন যোশিমঠের বাসিন্দারা। অথচ তাঁদের জন্য ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ করা হচ্ছে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেবভূমের বাসিন্দারা। এরই মাঝে এক উপগ্রহ চিত্র(Satalight Image) প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে যোশিমঠ।

যোশিমঠের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবারই সেখানকার একাধিক বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এই তালিকায় রয়েছে দুটি হোটেলও। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। অভিযোগ কোনও রকম আগাম নোটিস ছাড়া এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি বিপর্যয়ের জেরে যাদের বাড়ি ছাড়তে হচ্ছে ও যাদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে তাঁদের ক্ষতিপুরণ সম্পর্কেও সরকারের ত্রফ থেকে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। সিনিয়র অফিসার হিমাংশু খুরানা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, যে বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়ছেন তাঁদের প্রাথমিক ভাবে দেড় লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। তবে সামান্য এই আর্থিক সাহায্যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অভিযোগ, গ্রামীণ আবাস যোজনাতেও সরকারের তরফে এর চেয়ে বেশি টাকা দেওয়া হয়। সেখানে এই বিপর্যয়ের পরও কিভাবে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। আবার যে বিপর্যয় শুধুমাত্র সরকারি অবহেলায় তৈরি।

এদিকে সম্প্রতি এক উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ আড়াই ইঞ্চি করে তলিয়ে যাচ্ছিল যোশিমঠ। গত ২ বছরে লাগাতার মাটিতে একটু একটু করে বসে গিয়েছে পাহাড়ি এই জনপদ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া উপগ্রহ চিত্র খতিয়ে দেখেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। দেরাদুনের সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিংয়ের সমীক্ষা থেকে এমন ছবিই ফুটে উঠেছে। জানা যাচ্ছে, ওই সময় থেকেই যোশিমঠ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পাহাড়ে ফাটল দেখা দিচ্ছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন প্রশাসন আরও আগে থেকে সতর্ক হল না।

এদিকে যোশিমঠের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সমস্ত বিষয়ই একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এই সমস্যার সমাধান করতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। মামলার শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারির তারিখ চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

spot_img

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...