Saturday, August 23, 2025

বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিত্ব চেয়ে CJI-কে চিঠি আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর

Date:

Share post:

বেশ কয়েক মাস ধরে বিচারক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এই নিয়ে একাধিকবার বিবৃতি দিয়েছেন। সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন।ফের এই বিতর্ক উস্কে দিল আইনমন্ত্রীর একটি চিঠি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখেছেন।

কী লিখেছেন তিনি ? তিনি দাবি জানিয়েছেন, কলেজিয়ামে যেন সরকারের প্রতিনিধিত্বও থাকে। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের ২০১১ সালের এক বিবৃতি উল্লেখ করে সুপ্রিম কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং হাই কোর্ট কলেজিয়ামে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন রিজিজু। আইনমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি করেছেন, ২৫ বছরের পুরনো কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই তাঁর এই সুপারিশ।

প্রসঙ্গত, আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফোঁকড় রয়েছে, তাই মানুষ এখন সরব হচ্ছেন এই বলে যে কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ্ব নয়।’ এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষন কৌল ও এএস ওকার বেঞ্চ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ হয়নি।

সরকারের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। রিজিজুর দাবি ছিল, জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করার যোগ্য। শুধুমাত্র কলেজিয়ামের পাঠানো প্রস্তাবকে মেনে নেওয়াই সরকারের ভূমিকা হতে পারে না। এর আগে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ২০১৫ সালে মোদি সরকার জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংসদে ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিল। যা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

spot_img

Related articles

ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে দেশে, এসআইআর নিয়ে তোপ অমর্ত্য সেনের

এসআইআর-র(SIR) নামে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এই এসআইআর কিছুটা ভালো করার অজুহাতে বড় রকমের ক্ষতি করার চক্রান্ত।...

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...