Friday, August 22, 2025

তৃণমূলের পদযাত্রা-প্রতিবাদ সভা ঘিরে জনতার ঢল কদম্বগাছিতে

Date:

Share post:

তৃণমূলের পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্রে করে বারাসতের কদম্বগাছির রাস্তায় মানুষের ঢল। রবিবার, কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর থেকে মিলন সংঘ মাঠ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে তৃণমূল (TMC) নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে। কদম্বগাছি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার (Kakali Ghoshdastidar), রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। বাইরে থেকে ভাড়া করা লোক নয়, শুধুমাত্র স্থানীয় মানুষদের নিয়ে এই পদযাত্রা মিলন সংঘের মাঠে গিয়ে শেষ হয়। তারপর ছিল জনসভা।

জনসভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনা, মিথ্যাচার ও কুৎসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন বক্তারা। এদিন কুণাল বলেন, এ রাজ্যে বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পারছে না। তাই তলায় তলায় কংগ্রেস, সিপিএম বা আইএসএফের মতো দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে ঘোঁট পাকাচ্ছে। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা পচা আলু ফেলে দিয়েছিলেন। সেটা নিয়েই লাফাচ্ছে দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহেরা। আসলে ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেলে দেওয়া পচা আলু। গদ্দারদের নিয়ে বিজেপি এখন বাংলা দখল করার স্বপ্ন দেখছে আর লাফাচ্ছে। এভাবেই এদিন নাম না করে কুণাল রাজ্যের বিরোধী নেতাকে তীব্র আক্রমণ করেন। কুণাল আরও বলেন, কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে ১০০ দিনের কাজে বাংলা প্রথম। আর সেই ১০০ দিনের টাকাই আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় দল এলে এবার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে এই প্রশ্নই করবে। মিডিয়ারও উচিত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের এই প্রশ্ন করা। সংখ্যালঘুদের পক্ষে কিছু বলার আগে বিজেপির উচিত নাকে খত দিয়ে বলা আমরা সিএএ, এনআরসি করে ভুল করেছি। তারপর মুসলিমদের পক্ষে কথা বলা উচিত। তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র দল যেখানে সব ধর্মের মানুষ সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারে। বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ তথা বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, সিপিএম আবার দাঁত বের করছে। একটা সাম্প্রদায়িক দল আইএসএফ, তাঁদের কোনও লোক নেই। সিপিএম আর কংগ্রেস তাদের অক্সিজেন জোগাচ্ছে। ওরা আবার চাইছে বাংলাকে অশান্ত করতে। আপনারা পুরনো দিন ভুলে যাবেন না। সিপিএমের অত্যাচার এখনও আমরা ভুলিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার উন্নয়ন ওঁদের সহ্য হচ্ছে না। তাই বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে।

আরও পড়ুন:Entertainment : ফের ‘ডন’ হয়ে উঠুন ‘পাঠান’ , অনুরাগীদের আবদারে নতুন ট্রেন্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় !


 

spot_img

Related articles

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...

স্বপ্নভঙ্গ নয়, মুক্তির লড়াই: জাতীয় স্তরের রেফারি হলেন গোপীবল্লভপুরের মনি খিলাড়ি

এ গল্প কোনো স্বপ্নভঙ্গের নয়, বরং শৃঙ্খল ভাঙার গল্প। কনকনে শীতের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভেঙে...