কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। অনুপ মাজি ওরফে লালার হয়ে আসানসোল, বার্নপুরে কয়লা সাম্রাজ্য চালাতেন রত্নেশ বর্মা । পুলিশ ও ইসিএল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও টাকা লেনদেনের গুরুতর বিষয়টি তিনিই সামলাতেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাই লালার সহযোগী ব্যবসায়ী রত্নেশ বর্মাকে জেরা করে পুলিশ কর্তা ও ইসিএল আধিকারিকদের নাম জানতে চাইছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা সাঙ্কেতিক ভাষায় লিখে রাখতেন ঘুষের হিসেব।সিবিআইয়ের দাবি, তিনি সাঙ্কেতিক ভাষায় লিখে রাখতেন ঘুষের টাকা কাদের দিতেন। শুধুমাত্র তাই নয় তাঁদের নামও লেখা থাকত শর্টফর্মে। কাদের দেওয়া হত এই টাকা ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার রত্নেশ বর্মাকে জেরা শুরু করেছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রত্নেশ বর্মা মূলত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোলে লালার হয়ে কাজ করতেন। পুলিশ, প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।গত এক বছর ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না এই রত্নেশ বর্মার।তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই ও ইডি।
এরইমধ্যে, গত সপ্তাহে, আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন, লালার সহযোগী এই ব্যবসায়ী। সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১-এর নভেম্বরে পুরুলিয়ার বাসিন্দা রত্নেশের বার্নপুরের অফিসে আয়কর তল্লাশিতে মেলে একটি ডায়েরি ও নথি।
সেই ডায়েরিতে ১৫-২০ জনের নাম ছাড়াও IC, GM বলে বেশ কিছু নামহীন ডেজিগনেশন লেখা ছিল। পাশে লেখা ছিল, থানা ও সংস্থার নাম। আর সেই সঙ্গে লেখা ছিল টাকার অঙ্ক। কারও নামের পাশে লেখা ৫ লাখ.. কারও ১০ লাখ… কারও ২০ লাখ বা আরও বেশি।
ওই সাঙ্কেতিক কোডের আড়ালে কোন কোন পুলিশ কর্তা ও ইসিএল আধিকারিকরা রয়েছেন? নিজাম প্যালেসে রত্নেশকে জেরা করে এবার তাঁদের সন্ধান পেতে চাইছে সিবিআই। এই সাঙ্কেতিক নামগুলি উদ্ধার করতে পারলে কয়লা পাচারকাণ্ডে মোড় গুরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
