পূর্বস্থলীর সভা থেকে রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দাবি করেন, রাজ্যে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। নাড্ডার এই কুৎসার জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, হেলেঞ্চার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য এমনকি আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা পেলে সাহায্য করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় তার পরিবারের সদস্যদের নাম। আসলে বিজেপি নেতারা সব সময়ই এক ধাপ এগিয়ে মানুষকে উস্কানি দেন।

বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিনিয়ত বিডিও অফিসে ‘হামলা ও ঘেরাও’ করার জন্য মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন।
নাড্ডা এদিন অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজেও রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে।তার জবাবে তৃণমূল রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছে, মোদি সরকারের কাছ থেকে বাংলা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বাবদ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা পাবে। বারবার বলা সত্ত্বেও সেই টাকা পাওয়া যায়নি। নাড্ডা এদিন অভিযোগ করেন, বাংলায় যাদের ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড আছে তাঁদের সেই কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ নেই। তাই কার টাকা কে পাচ্ছে তার হিসাব পাচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। অথচ কেন্দ্রের তথ্যই বলছে ১০০ দিনের কাজের জবকার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তির ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাই।

কেন্দ্র রাজ্য থেকে কর সংগ্রহ করে। তারা রাজ্যকে যে টাকা বরাদ্দ করে তা সেই ট্যাক্সের একটি অংশ।আসলে কেন্দ্র বাংলাকে টার্গেট করে নির্যাতন করার মিশন নিয়েছে।তৃণমূল সাফ জানিয়েছে, আবাস প্রকল্প, NSP এবং Rural Lifelihood Mission প্রকল্পের টাকাও মেটায়নি কেন্দ্র। এবারের বাজেটেও বাংলার জন্য সেভাবে কোনও বরাদ্দ নেই। কেন্দ্রীয় বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি কমানো হয়েছে।নাড্ডা এদিন দাবি করেন, বাংলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ও তহবিলের অপব্যবহার হচ্ছে।অথচ বাস্তব হল, প্রতিটি তুচ্ছ জিনিসের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে।তৃণমূলের কটাক্ষ একটি মশার কামড়ের জন্যও বিজেপি সম্ভবত তদন্তের জন্য একটি কেন্দ্রীয় দল পাঠাবে। তবে, যদি দুর্নীতি হয়

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতির সময় নিশ্চুপ থাকে কেন্দ্র। মধ্যপ্রদেশে রহিকওয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২০০টিরও বেশি শৌচাগার বেআইনিভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। অথচ তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে।

নাড্ডা এদিন অভিযোগ করেন, তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাফ জানিয়েছে, খোদ বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম সিবিআইয়ের এফআইআরে আছে।অথচ তাকে গ্রেফতারের নাম নেই। এমনই নানান অভিযোগের জবাব পরিসংখ্যান তথ্য দিয়ে খন্ডন করেছে তৃণমূল।
