Wednesday, November 12, 2025

শেষ পর্যন্ত জামিন পেলেন ভাঙড়ের বিধায়ক

Date:

Share post:

অবশেষে জামিন পেলেন নওশাদ সিদ্দিকি। গ্রেফতারের ৪০ দিন পর জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ  নেতা-কর্মীরা, যার আঁচ এসে পড়ে কলকাতায়। ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ-এর একটি কর্মসূচি ঘিরে ঝামেলা হয়।আইএসএফ  কর্মী সমর্থকরা পুলিশের বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।যার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৮৮ জনকে। নওশাদের মুক্তি চেয়ে পথে নেমেছিল আইএসএফ এবং বামদলগুলি।জামিনের আবেদন করে হাইকোর্টে যান নওশাদ সিদ্দিকি।

গত সপ্তাহে নওশাদ সিদ্দিকির  গ্রেফতারি মামলায় হাইকোর্টের  কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ‘একটা ঘটনায় ৮৮ জন গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারির ক্ষেত্রের এতদিন ধরে ৮৮ জন জেলে? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মতো ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?’ ওই একই দিনে আদালতে নৌশাদের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘একজন নেতা বা বিধায়কের এই ধরনের ভূমিকা হয়? গণতন্ত্রের নামে এই ধরনের আচরণ করা যায়? প্রতিবাদের নামে এই ধরনের আচরণ করা যায় কি?

বিচারপতি বাগচী আরও বলেন, এটা একজন নেতার কাছ থেকে আশা করা যায় না। নেতাদের আরও সংযত হওয়া উচিত। নওশাদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘কী কারণে ফের পুলিশি হেফাজতের প্রয়োজন? যা জিজ্ঞাসাবাদ করার, তা তো হয়েছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্স করুন। উনি বিধায়ক। রাজবন্দি করে রাখা হোক।’

 

 

spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...