বিষ্ণুপুরের তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শুটারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার জলপাইগুড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এই খুনের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের দুর্গাবাটিতে খুন হন তৃণমূল বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল। ঘটনার প্রায় ২ সপ্তাহ পর শুটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ভাড়াটে খুনির নাম উজ্জ্বল সরকার। বাড়ি জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকায়। উজ্জ্বলকে এই খুনের সুপারি কে বা কারা দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।সঠিক তথ্য জানতে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এই নিয়ে বিষ্ণুপুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় চারজনকে জনকে আটক করল পুলিশ। যাদের আটক করা হয়েছে এলাকায় তারা ‘বিজেপি কর্মী’ হিসাবেই পরিচিত। যদিও তা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটেছে এই ঘটনা।
প্রসঙ্গত, এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃনমূলের বুথ সভাপতি সাধন মন্ডল। বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সাধনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই খুন। এর আগেও সাধনের উপর হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে পারিবারিক সূত্রে। আর তারপরেই ওই কাণ্ডে শুভাশিস মন্ডল ওরফে ভুতু, স্বপন মন্ডল, তাপস মন্ডল, অরুণ মন্ডল এবং স্বরূপ মন্ডল নামে ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । তিনি জানিয়েছেন,’সিপিএম এখন বিজেপি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তারা যৌথ ভাবে আমাদের শক্তিশালী কর্মীদের খুন করে আমাদের সংগঠনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। এর আগেও এরা এমন করেছে। ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগকে কাজে লাগিয়ে ছক কষে এই সব করা হচ্ছে।
