চোখের আলো নেই। সঙ্গে ব্রেন টিউমার (Brain Tumour)। অদম্য জেদকে সঙ্গী করে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (High Secondary Examination) বসেছেন হুগলির শিয়াখালার সাহিন। আর তাঁর অন্ধের যষ্টি হয়েছে ক্লাস ইলেভেনের অনন্যা কোলে। সেই সাহিনের রাইটার (Writer)।

সম্প্রীতির আর মানবিকার নজির। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সাহিনের রাইটার অনন্যা কোলে (Ananya Kole)। সাহিনের লড়াইয়ের পাশে হুগলি (Hoogli) জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় (Subir Mukharjee)। ২০১২ সালে শিয়াখালার বাসিন্দা সাহিনের ব্রেন টিউমার ধরা পরে। আর্থিক অনটনের কারণে চিকিৎসা বন্ধ প্রায়। এই সময় পাশে দাঁড়ান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। সাহিনহকে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এই সময় সাহিন ও তাঁর মা মমতাজের হাত ছেড়ে দেন সাহিনের বাবা।


২০২০ সালে সাহিনকে ফের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরার পরে দৃষ্টি হারান সাহিন। কিন্তু চোয়াল শক্ত করে লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। গতবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেও শারীরিক অবস্থা আবার খারাপ হওয়ায় তিনটি পরীক্ষা দিতে পারেনি সাহিন। হার না মেনে এবছর আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন রমনাথপুর আরকেএএন হাই স্কুলের ছাত্রী সাহিন। এবার তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছে জনাই ট্রেনিং হাই স্কুলে। দৃষ্টিহীন সাহিন রাইটার অনন্যা কোলেকে নিয়ে এবছর আবার পরীক্ষায় বসছেন। রমনাথপুরের বাসিন্দা অনন্যা আরকেএএন হাই স্কুলের ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। সাহিনের লড়াইয়ের পাশে রয়েছেন সুবীর মুখোপাধ্যায়ও। সাহিনের সাফল্য কামনা করছে ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’।
