প্রতি রাতে হার্ট অ্যাটাকের শিকার দেড় লক্ষেরও বেশি! কেন জানেন?

গায়ক কেকে থেকে শুরু করে রাজু শ্রীবাস্তব সকলের মৃত্যুর পিছনে দায়ী হার্ট অ্যাটাক। সম্প্রতি বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনও ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। রোজই প্রায় কমবেশি সুস্থ, সবল মানুষ আকস্মিকভাবে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু নেমে এসেছে ওই সব মানুষের জীবনে।

আরও পড়ুন:সাহিনের ‘অ*ন্ধের যষ্টি’ হল অনন্যা! অনন্য নজির হুগলিতে

উদ্বেগের বিষয় হল কম বয়সে কেন এত বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটছে?
পুরোদস্তুর ফিট, ছিপছিপে, রোজ জিম করা সুস্মিতাও কি না মাত্র ৪৭ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের কবলে পড়লেন! অবাক সকলে। হয়তো বা সেই ফিটনেসের জন্য এত বড় বিপদ আপাতত কাটিয়ে উঠেছেন বিশ্বসুন্দরী। কিন্তু কে কে (৫৩), সিদ্ধার্থ শুক্লা (৪০), পুনিত রাজকুমাররা (৪৬) অত ‘ভাগ্যবান’ ছিলেন না!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চমকে দেওয়া পরিসংখ্যান হল, ভারতে রোজ যত মানুষ মারা যায়, তার ২৭ শতাংশের মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোক (কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ)। সংখ্যার হিসেবে রোজ অন্তত ১২ হাজার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ১২ হাজারের মধ্যে ৭৫-৮০ শতাংশ মৃত্যুরই কারণ হার্ট অ্যাটাক। বাকিটা ব্রেন স্ট্রোক। অর্থাৎ দেশে রোজ শুধু হার্ট অ্যাটাকের বলি হচ্ছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ থেকে উঠে আসছে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো আর একটি তথ্য। প্রতি রাতে দেশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ (যাঁদের হার্ট অ্যাটাক হয়, তাঁদের ১০-১৫ শতাংশ মারা যান)।

ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, ‘হার্ট অ্যাটাক হওয়ার বয়স কমছে। অল্পবয়সিদের হার্ট অ্যাটাকের বৈশিষ্ট্য হল, সিংহভাগ ক্ষেত্রে কোনও লক্ষণই থাকে না। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। তাই পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস থাকলে অত্যন্ত সতর্ক হন।’  বিশিষ্ট হার্ট সার্জেন ডাঃ কুণাল সরকার বলেন, ‘শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে নিজেকে কখনও হিরো ভাববেন না। কার যে কখন কী হয়! আজই ধূমপান ছাড়ুন। পরিবারে হার্টের রোগ ও সুগারের ইতিহাস থাকলে অবশ্যই তিরিশের পর থেকে বছরে একবার রুটিন পরীক্ষা করান।’

 

 

Previous articleসাহিনের ‘অ*ন্ধের যষ্টি’ হল অনন্যা! অনন্য নজির হুগলিতে
Next article“টাকা আমার”, জিজ্ঞাসাবাদের পর জানালেন বনি !