চূড়ান্ত অ*ব্যবস্থা! সাদ্দামের ‘সাধের’ তরী এখন শুধুই জেলেদের  

তবে এর বেশিরভাগ অংশই বর্তমানে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে তা বিশ্রামের জন্যই ব্যবহার করছেন স্থানীয় জেলেরা। এমন খবরই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বর্তমানে অনেক মানুষই শখের কারণে প্রমোদতরীটিতে সময় কাটাচ্ছেন।

ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের (Saddam Hossain) বিলাসবহুল প্রমোদতরী (Yacht) ‘আল মনসুর’-এর (Al Mansoor) কথা অনেকেরই জানা। মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে প্রমোদতরীটি বানিয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন। আর সেই সাধের তরীটির বর্তমান অবস্থার কথা জানলে অবাক হয়ে যাবেন। বর্তমানে প্রমোদতরীটি জৌলুস হারিয়ে স্থানীয় জেলেদের পিকনিক স্পটে (Picnic Spot) পরিণত হয়েছে। পরিষ্কারভাবে বললে, প্রমোদতরীটি বর্তমানে জেলেদের বিশ্রামাগারে পরিণত হয়েছে। তবে বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীটি দেখতে পর্যটকদের আগ্রহও তুঙ্গে।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রমোদতরীটিতে হামলা চালায় মার্কিন সেনারা। একাধিক জিনিসই লুঠ হয়ে যায় বলে খবর। আর তারপর থেকেই প্রমোদতরীটি ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের একটি নদীতে পড়ে রয়েছে। তবে এর বেশিরভাগ অংশই বর্তমানে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে তা বিশ্রামের জন্যই ব্যবহার করছেন স্থানীয় জেলেরা। এমন খবরই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বর্তমানে অনেক মানুষই শখের কারণে প্রমোদতরীটিতে সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি ঐতিহাসিক জাহাজটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরাও।

তবে শুধু এটিই নয়, আরও দুটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী ছিল সাদ্দাম হোসেনের। ৩৯৬ ফুটের ‘আল-মানসুর’ প্রমোদতরীটি নির্মিত হয় ৮০’র দশকে। এটিকে সাদ্দাম হোসেনের সম্পদ ও ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হত। তবে সাদ্দাম হোসেন যখন বেঁচে ছিলেন, তখন কেউই এর ধারে কাছে আসতে পারত না।

Previous articleঅজিদের বিরুদ্ধে ম‍্যাচ জিতে সতীর্থদের প্রশংসায় হার্দিক
Next articleবাকিংহাম প্যালেসে নক্ষত্রখচিত নৈশভোজে বঙ্গতনয় প্রসূন মুখোপাধ্যায়