এবার সরাসরি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে চাপে রাখলেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকেও। পাটনায় জেডিইউ-এর রাজ্য শাখার সদর দফতরে বিশাল আকারের ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। তার যেখানে নীতীশ কুমারের মুখ এবং একগুচ্ছ স্লোগান—”মন কি নেহি…কাম কি বাত”, “জুমলা নেহি… হকিকৎ হ্যায়”, “সূচনা হয়েছে, এবার পরিবর্তন হবে”। লোকসভা ভোটের আগে অবিজেপি দলগুলিকে বার্তা দিতেই নীতীশের এমন উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন:১০০-র পাল্টা ‘প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ’! নীতীশকে কটাক্ষ বিজেপির


একটু গভীরে ভাবলে বোঝা যাবে স্লোগানগুলি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিহারে পরবর্তী বিধানসভা ভোট ২০২৫ সালে। বর্তমান বিহার সরকারের ক্ষমতায় নীতীশ কুমারই। সুতরাং, ইঙ্গিত স্পষ্ট, এবার তিনি কেন্দ্রে বদলের পক্ষে। কিন্তু হঠাৎ করে এমন প্রচার কেন? যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা চরমে। সবার একটাই প্রশ্ন—এবার কি সরাসরি নিজেকে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করে দিলেন নীতীশ?

“বিগ-বস” মনোভাবাপন্নের কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোটের সম্ভাবনায় শুরুতেই জল ঢেলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সপার শীর্ষনেতা অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। এবার নীতীশও সেই পথে। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে অকংগ্রেসি নতুন বিরোধী জোট গঠনের উদ্যোগ ততই বাড়ছে।


অন্যদিকে, সাত রাজ্যের অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দিল্লিতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার ছাড়াও রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর) অন্যতম। যদিও ১৮ মার্চের সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এড়িয়েছেন কেসিআর। তৃণমূল নেত্রী অবশ্য কিছুদিনের মধ্যে দিল্লি সফরে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তার আগে আজ, মঙ্গলবার আর এক অবিজেপি-অকংগ্রেসি রাজ্য ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
